ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত সদর টিটোয়েন্টি লিগে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান করা দীপাঞ্জনের


বিগত মরসুমে নিজের দল নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউটকে রেলেগেশন থেকে বাঁচানো বা বাইজুস্ লিগে কাঞ্চনজঙ্ঘা ওয়ারিয়র্স দলের হয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেও নিজের পারফরমেন্স নিয়ে খুশি ছিলেন না দীপাঞ্জন মুখার্জী। গত মরসুম শেষের পরেই অম্বরীশ মিত্রের দমদম ক্লাবে গিয়ে জোরকদমে প্র্যাক্টিস শুরু করেছিলেন তিনি।
চলতি আগস্ট মাসে ত্রিপুরার একটি স্থানীয় দল ব্লাডমাউথ দলের হয়ে খেলার অফার পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে সম্পূর্ণ টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত উজ্জ্বল তিনি। তার দল ব্লাডমাউথ ফাইনাল ম্যাচ ইউনাইটেড ফ্রেন্ডসের কাছে হেরে গেলেও ওপেনার উদিয়ান বোসের সঙ্গে টুর্নামেন্টের প্রথম পাঁচ রান সংগ্রাহকের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন দীপাঞ্জন। টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে তার মোট সংগ্রহ ২৫০ রান। ব্যাটিং গড় ৮৩.৩৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১০৯.১৭।


হার্ভে দলের বিরুদ্ধে একটি লো-স্কোরিং ম্যাচে ১১০ রানের লক্ষ্যমাত্রা পার করতে ৩৮ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন দীপাঞ্জন এবং পরবর্তী ম্যাচেই চলমান সংঘ দলের বিরুদ্ধে ৪৯ বলে ৫০ পূর্ণ করেন। সেমিফাইনাল ম্যাচেও ভালো ব্যাট করে একটি ৪১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন তিনি।
বৃষ্টির কারণে উইকেট ছিল বেশ খারাপ, ম্যাচ অনেকক্ষেত্রে হয় ১১ ওভার, ১৩ ওভারের। সেইদিক থেকে দেখলে বেশ ভালোই পারফরমেন্স করেছেন দীপাঞ্জন। কিন্তু ময়দানের বিগ হিটারের স্ট্রাইক রেট ১০৯ মাত্র? কারণ হিসেবে দীপাঞ্জন বললেন “স্ট্রাইক রেট সবসময় গুরুত্বপূর্ণ নয়, ম্যাচ সিচুয়েশন অনুযায়ী ব্যাট করেছি। আমি যদি মারতে গিয়ে রিস্ক নিয়ে আউট হতাম সেটা টিমের জন্য ঠিক হতোনা।” নিজের ম্যাচ উইনিং ইনিংস সম্পর্কে তিনি বললেন “আমার কাছে টিমের জেতা স্পেশাল সেখানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরে গিয়েছি। আমার ইনিংস দলের কাজে লেগেছে এতেই আমি খুশি।”