“সিম ধরে বল করবো বলেই ভেবেছিলাম আর ঠিক তাই করেই উইকেট আসছে।”- রবিকান্ত সিং


চলতি সিএবি সুপার লিগে এখনো অবধি প্রতিটি দল খেলেছে ৪টি ম্যাচ এবং সেই ৪টি ম্যাচ থেকে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় একেবারে প্রথমে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন রবিকান্ত সিং। ৪টি ম্যাচের ৮টি ইনিংস থেকে তার উইকেট ২৮। এই লিস্টে তার পরে যে ফাস্ট বোলার আছেন তিনি ১১টি উইকেট পেছনে থেকে নিয়েছেন ১৭টি।
গতবছর উইকেট না পাওয়ার পরে এই বছর দুরন্তভাবে ফিরে এসেছেন রবিকান্ত। কিভাবে ফিরলেন তিনি? কিভাবে সম্ভব হলো এই পুনরুত্থান? সরাসরি রবিকান্ত সিংয়ের থেকেই শোনা হলো সেই গল্প:-
প্রশ্ন:- তুমি এই মরশুমে এতো সফল। বোলার হিসেবে কতটা ভালো লাগছে?
রবিকান্ত:- দেখো খুবই ভালো লাগছে কারণ আমার আগের মরশুম খুব খারাপ গিয়েছিল। আব্দুল মোনায়েমকে ধন্যবাদ যে উনি আমাকে সাপোর্ট করেন। অন্য ক্লাব থাকলে হয়তো আমাকে রিলিজ দিত, কিন্তু আব্দুলদা বললো তুই থাক, পরের বছর ভালোভাবে ফিরে আসবি। আমি ক্রেডিট আব্দুলদাকে দিচ্ছি। এইবছর হয়তো আরো ভালো খেলব।


প্রশ্ন:- গতবছর উইকেট না পাওয়ার পরে কি কি বদল আনলে বোলিংয়ে যে এইবছর এতো সফল?
রবিকান্ত:- আগের বছর আমার দিন ভালো ছিলনা। খাটলেই যে দিন যাবে, আর না খাটলে দিন ভালো হবে এমন তো নয়। খাটনি চিরকাল করি। আগের বছর খুব একটা সিম ধরে বল করিনি, ঐজন্য এইবার ভেবেছিলাম যে যাই হোক সিম ধরে বল করবো। শুরুর দিকে কনফিডেন্স ছিলনা, আব্দুলদা কনফিডেন্স দিল এবং আমি ভালো করলাম।
প্রশ্ন:- তপন মেমোরিয়াল ম্যাচটা একটু ডাবল পেসড উইকেট ছিল। কি স্ট্রাটেজি ছিল তোমার?
রবিকান্ত:- আসলে ডাবল পেসড উইকেটে স্ট্রাটেজি বেশী করার দরকার নেই। কারণ বল পড়ার পরে আমিও জানিনা বল কি হবে আর ব্যাটারও জানেনা। তাই উইকেটে বল করাই ছিল মূল লক্ষ্য।
প্রশ্ন:- সিজনের প্রথম ম্যাচেই সাত উইকেট কি তোমায় একটা আলাদা কনফিডেন্স দিয়েছে?
রবিকান্ত:- একশোবার। এর আগে আমার কনফিডেন্স সেরকম ছিলনা। ওই ম্যাচের পর নিজেকে ব্যাক করলাম, আব্দুলদাও ব্যাক করলো এবং তারপরে রেজাল্ট এসেছে। আমি ভেবেছিলাম যে বেশি উইকেটের পেছনে ছুটবো না বরং ভালো বল করবো। কল্যাণীর উইকেট ভালো পেয়ে জায়গায় বল করেছিলাম আর উইকেট পেয়েছি।
প্রশ্ন:- পরের সপ্তাহে ওয়ান ডে। বোলিং প্ল্যান একই থাকবে?
রবিকান্ত:- প্ল্যান হয়তো বদলাবে। উইকেটের ধাচ, আবহাওয়া সব দিক বিচার করে আমার বোলিং প্ল্যান হবে।
প্রশ্ন:- এই পারফরমেন্স করার পরেও বেঙ্গল স্কোয়াডে না থাকা কি একটা ভেঙ্গে পড়ার মতো ঘটনা তোমার জীবনে?
রবিকান্ত:- না ভেঙে পড়িনি। আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। আমার পারফরমেন্স করা হাতে আছে এবং আমি ওইটা করছি। বাকিটা ভাগ্যের হাতে।
পুনশ্চ:- মুকেশ কুমার চোটগ্রস্ত হওয়ায় বাংলা দলে এসেছেন রবিকান্ত সিং।