সই সম্পূর্ণ ডালহৌসি ক্লাবের। দলে এলেন ময়দানের বর্ষীয়ান অভিজিৎ গাঙ্গুলী।

আজ ৬ই সেপ্টেম্বর, দুপুর দেড়টা নাগাদ সিএবিতে গিয়ে সই করে এলেন ডালহৌসি অ্যাথলেটিক ক্লাবের নবনিযুক্ত খেলোয়াড়রা। সিনিয়র ক্রিকেটার অভিজিৎ গাঙ্গুলী ছাড়াও দলে রয়েছেন তরুণ পেসার সৌম্যরূপ মন্ডল, ব্যাটার কৃষ্ণেন্দু গোস্বামী, রেল দলের হয়ে রনজি ট্রফি খেলা চন্দ্রপল সাইনি, অভিজ্ঞ সুনীল দালাল। এছাড়াও অঙ্কুর সিং, সৃজিত সিং, স্পন্দন মজুমদার, বিশাল রায়, মৃত্যুঞ্জয় দত্ত, রাম কুমার সাউ, সম্বিত দাস প্রমুখ খেলোয়াড়কে নিয়ে দল সাজিয়েছে ডালহৌসি। দলের ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন অনুপ পাল। দল নিয়ে অনুপবাবু বলেছেন “এইবছর দলে সব লোকাল প্লেয়ার আর তিনজনকে বাইরে রেখেছি ভবিষ্যতের জন্য। আমরা এইবছর লোকাল ছেলেদের অগ্রাধিকার দিয়েই দল করেছি।” তিনি আরো বলেছেন “ইয়ং ছেলেদের খেলাটা অনেক ভালো কারণ তাঁদের খেলতে গেলে যে চোট লাগবে তা তারা রিকভার করে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে। আর ময়দান খেলাটা যেমন হয় তাতে আমরা যাতে তাদের আরো উন্নত করতে পারি এবং বেঙ্গলকে আরো খেলোয়াড় সাপ্লাই করতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য।”


ময়দানে অন্যতম বয়স্ক খেলোয়াড় অভিজিৎ গাঙ্গুলী। ৫২ বছর বয়সেও প্রথম ডিভিশন ক্রিকেটে নিজের খেলা ধরে রেখেছেন অভিজিৎ গাঙ্গুলী। ময়দানে এই মরশুম অভিজিৎ গাঙ্গুলী যখন প্রথম ডিভিশন খেলা শুরু করেছেন, অর্থাৎ প্রায় ৩১ বছর আগে তখন খেলতেন অরুণ লাল, অশোক মালহোত্র, উৎপল চ্যাটার্জী। আজ ৩১ বছর পর তিনি খেলবেন এমন ক্রিকেটারদের সঙ্গে যাদের বয়স তার প্রথম ডিভিশন কেরিয়ারের থেকেও কম। গতবছর তিনি খেলেন টাউন ক্লাবে এবং কালীঘাট মাঠে একবার ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কারও পেয়েছিলেন অভিজিৎ। টাউন ক্লাব ছেড়ে ডালহৌসি ক্লাবে আসা অভিজিৎ কারণ হিসেবে বললেন “ওখানে নিয়মিত সুপার ডিভিশন খেলা হচ্ছিল এবং আমি নিয়মিত খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। আমি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছি তারপরে আমাকে খেলায়নি। তাই আমি একটা জুনিয়র টিমে এলাম। আমার একটা উচ্চাশা ছিল এমন একটা জুনিয়র টিম তৈরী করবো যা বড়ো টিমকে বেগ দেবে। সেরকমই টিম এই বছর বানানো হয়েছে।” অভিজিৎ আরো বলেন “এখানে ইউথ টিমে এসেছি কারণ সিনিয়র হিসেবে আমি দলের খেলোয়াড়দের আরো উদ্বুদ্ধ করতে পারবো এবং আমি তাদের ঠিকঠাক গাইডও করতে পারবো। আমার মনে হয় অন্য বড়ো ক্লাবে থেকে খেলার চেয়ে ছোটো ক্লাবে খেলে ইস্টবেঙ্গল বা কালীঘাট ইত্যাদি বড়ো দলকে বেগ দেওয়া বড় প্রাপ্তি।”


আজ বাংলার অন্যতম একজন বাঁহাতি ব্যাটার ঋতম পোড়েল বলছিলেন শেষ দশ বছর ধরে বর্ষীয়ান হিসেবে রয়েছেন অভিজিৎই। ৫২ বছর বয়সে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন অভিজিৎ। কারণ কী? কী সেই মোটিভেশন? অভিজিৎ বললেন “আমি খেলতে খুব ভালোবাসি। আমি ক্রিকেট থেকে সব কিছু পেয়েছি। এই খেলাটা ছাড়তে পারবো না।”
সব মিলিয়ে বেশ ভালো দল গঠিত হয়েছে ডালহৌসির।