সোমবারের রৌদ্রজ্বল দুপুর এবং কালীঘাট মাঠে তখন ব্যাট করছেন জয়জিৎ বসু এবং রবিকান্ত শুক্লা। খেলা দেখছেন কালীঘাট ক্লাবের খেলোয়াড়রা। মেট্রোর প্র্যাক্টিস শেষে মাঠেই দাঁড়িয়ে আছেন অর্ণব নন্দী, তুহিন ব্যানার্জী, অরিন্দম ঘোষ, সৌরভ সিংরা।
গতদিন পার্থ পালাওয়াত এবং গৌরব জঠরের দাপটে এরিয়ান ক্লাবের তোলা ৪২২ রান তাড়া করতে নেমে মহামেডান ১৫০-২। বেশ ভালো গতিতে রান তুলছেন জয়জিৎ বসু এবং রবিকান্ত শুক্লা বল প্রতি এক রান নিলেও বেশ স্থিতিশীল ক্রিজে। তার একটু আগে ফিরে গিয়েছেন বেশ ভালো ব্যাট করে ৭১ রান করা গীতিময় বসু, তবুও রান তোলার স্বচ্ছন্দ কমেনি জয়জিৎ এর। পেস বোলার একটু হার্ড লেংথ বল ফেললেই করছেন পুল, স্পিনার একবার মিডল স্ট্যাম্প লাইনে ফেলে দিতেই সজোরে উড়িয়ে দিচ্ছেন মিড অনের ওপর দিয়ে। পারভেজ আলম-জয়ন্ত চৌধুরীরা তখন মহামেডানের রানের গতি কমাতে মরিয়া কারণ অন্য ব্যাটার রবিকান্ত শুক্লাও তখন জয়জিৎ এর সঙ্গে বাউন্ডারি মারছেন খারাপ বল পেলেই। নিজের শতক পেরোনোর পরে জয়জিৎ যখন একটু অসুবিধায় পড়ছেন শট নিতে তখন সেই রানের ধারা চালিয়ে নিয়ে গেলেন রবিকান্ত।
শতক পেরোনোর পর একবার জয়জিৎ বসুর পুল একটুর জন্য হাতছাড়া করলেন ডিপ মিডউইকেট ফিল্ডার, কিন্তু তারপরে ব্যক্তিগত ১১৯ রানের মাথায় পারভেজ আলমকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন অনবদ্য সেঞ্চুরি করা জয়জিৎ। এরপর বিকাশ মিশ্র এবং অধিনায়ক দীপ চ্যাটার্জী খুবই কম স্কোরে আউট হয়ে গেলেও যেন বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন রবিকান্ত। ১২টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১৮ বলে ১১৯ করে মহামেডান দলের জয়ে দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করেন রবি।
দলীয় ৪১৩-৭ স্কোরে যখন রবিকান্ত আউট হন তখন মহামেডান দলের প্রয়োজন ১০ বলে ১০ রান। ঠিক এই সমীকরণই দাঁড়ায় শেষ ওভারে চার রানে। কুনাল কুমারের প্রথম বলে আকাশ বিশ্বাসের ক্যাচ ফেলেন আশ্রয় ঝা এবং তারপরের বল সিঙ্গেল নিয়ে স্কোর সমান করেন আকাশ বিশ্বাস এবং তারপরের বল অর্থাৎ শেষ ওভারের তৃতীয় বলটিকে ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে জয়সূচক রান তুলে নেন বৈভব।
নিজের অনবদ্য ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরার পুরস্কার পান রবিকান্ত শুক্লা।