মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে গেল সিএবি সুপার ডিভিশন লিগের নকআউট স্তরের খেলা। প্রথম রাউন্ডে চারটি বড়ো দল প্রত্যাশামাফিক জয়লাভ করে অর্জন করল কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার যোগ্যতা।
লিগের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচগুলির মধ্যে সবচেয়ে একপেশে হয়েছে মহামেডান এবং কাস্টমসের ম্যাচ। গোয়েশপুর স্টেডিয়ামে প্রথমদিন বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলে দ্বিতীয়দিন টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার চরম ভুল করে কাস্টমস। শুরুতে ব্যাট করে একমাত্র অরিক্ত দাস(১৬) এবং শুভ্রজিৎ দাস(১৪) ছাড়া কেউই দুই অংকের রান করতে পারেননি। বৈভব যাদব এবং বিকাশ সিংয়ের বোলিং দাপটে মাত্র ৮০ রানে শেষ হয়ে যায় কাস্টমস। এরপর ব্যাট করতে নেমে জয়জিৎ বসুর ঝোড়ো ৪০ বলে ৬২ রানের ইনিংস মহামেডানকে সাহায্য করে ম্যাচটি ১০ উইকেটে জিতে নিতে।
ভিডিওকন মাঠে মোহনবাগান মুখোমুখি হয় ইউনাইটেড ক্লাবের। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অভিজ্ঞ অভিমন্যু ঈশ্বরণের দুর্দান্ত ব্যাটিং মোহনবাগানকে শক্ত ভিতে দাঁড় করায়। উল্টোদিকে সর্বোচ্চ রান ৪৬ ছিল আয়ুষ কুমার সিং এবং অরিন্দম ঘোষের। উল্টোদিকে উইকেট পড়লেও আক্রমণ চালিয়ে যান ঈশ্বরণ। শেষ পর্যন্ত ২৬২ বল খেলে ২৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ৪৮১ রানের নিরাপদ স্কোরে পৌঁছে দেন তিনি। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৩ রানে শেষ হয়ে যায় ইউনাইটেড ক্লাব। অধিনায়ক অর্ণব নন্দী নেন ৪টি উইকেট।
আদিত্য স্কুল অফ স্পোর্টসে স্পোর্টিং ইউনিয়ন এবং ভবানীপুরের ম্যাচ ছিল বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্পোর্টিং ইউনিয়নকে বেশ চাপে ফেলেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। একের পর একটা উইকেট নিয়ে পার্টনারশীপ গড়তে দেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত তার ৬ উইকেটের সৌজন্যে মাত্র ১৫৫ রানে শেষ হয় স্পোর্টিং ইনিংস। এরপর ভবানীপুর ব্যাট করতে নামলে প্রিয়াংশু শ্রীবাস্তব(৬), কৌশিক ঘোষ(২৩), ঋত্বিক চ্যাটার্জী(০) সকলেই ফিরে যান অল্প স্কোরে। কিন্তু একদিকে বেশ শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিষেক দাস। সবাই আউট হয়ে গেলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ হাফসেঞ্চুরি করে যান তিনি। কিন্তু একসময় ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পরে ভবানীপুর। তা সত্ত্বেও আমির গনি এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিক(২৪)-এর ভালো ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যপূরণ করে ফেলে ভবানীপুর। প্রসঙ্গত তৃতীয় দিনের খেলার কিছু অংশ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলে ভবানীপুরের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৪৫।
অপরদিকে রেঞ্জর্স মাঠে হওয়া টাউন এবং আনন্দবাজার ম্যাচে মহম্মদ কাইফ(৫ উইকেট) এবং সুজিত যাদব(৩টি) নিজেদের বোলিং দক্ষতায় ম্যাচে টাউনকে অগ্রগামী করে দেন। ব্যাট হাতে দুরন্ত সেঞ্চুরি করে অভিজিৎ ভগতের সেঞ্চুরির ফলে সহজেই রান তাড়া করে ফেলে টাউন ক্লাব।