এশিয়া কাপ থেকে বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে একদিন আগেই। এই বিদায় লগ্নেই ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে ভারত। সেই সাথে বিরাট কোহলির হয়েছে অপেক্ষার অবসান। তিন বছর পর তিনি পেয়েছেন কাঙ্খিত সেই সেঞ্চুরিটি । আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরিও। ভারতও পেয়েছে বড় জয়। কিন্তু তবুও সাত বারের চ্যাম্পিয়নদের ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। গতকাল রাতেই পাকিস্তানের জয়ই নিশ্চিত করে দিয়েছে সেটি।
বৃহস্পতিবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০১ রানে জিতেছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কোহলির সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ২১৩ রানের লক্ষ্যে জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ১১১ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান।
টস হেরে ভারত ব্যাট করতে নামে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বে। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে ইনিংস উদ্বোধনে তার সঙ্গে আসেন কোহলি। তাতেই বাজিমাত করেছেন। দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষ করে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি।
৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করতে কোহলি খেলেছেন ৫৩ বল। অর্থাৎ পরের পঞ্চাশ রান তিনি করেছেন ২১ বলে। শেষ অবধি ৬১ বলের ইনিংসটি ১২ চার ও ৬ ছক্কায় থেমেছে ১২২ রানে। এরপর বল হাতে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন ভুবনেশ্বর কুমার। নিজের একমাত্র স্পেলে চার ওভারে মাত্র চার রানের বিনিময় তুলে নেন পাঁচ উইকেট।
এশিয়া কাপে ভারতের এই নিয়মরক্ষার ম্যাচটিই ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় করে রাখলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক কোহলি। কেননা এই ম্যাচেই যে তিনি তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৭১তম সেঞ্চুরি।
২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইডেন উদ্যানে ৭০তম সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি। এরপর ৭১তম সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হলো ১০২১ দিন! দীর্ঘ প্রায় তিন বছর অপেক্ষার পর অবশেষে জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা পেলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
এদিন ইনিংস ব্রেকে ধারাভাষ্যকারদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি, খুবই কৃতজ্ঞতাবোধ করছি এখন। গত আড়াই বছর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। নভেম্বরে আমার ৩৪ বছর হবে। তাই (আগ্রাসী) উদযাপন সব অতীতেই থাকুক। এখন অনেক কিছুই আমার ভাবনার জগতে কাজ করে।’