কলকাতায় তার আগমন ঘটেছিল চলতি মাসের ৯ তারিখে। সেদিন আমেদাবাদে কে কে আর মুখোমুখি হয়েছিল গতবারের আই পি এল চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানস এর যে ম্যাচ রিঙ্কু সিং এর অলৌকিক ব্যাটিং পারফরম্যান্স এর সৌজন্যে আই পি এল এর ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।সেই ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই লিটন খেলেননি।
বাংলাদেশী ওপেনারের বেগুনী জার্সিতে অভিষেক ঘটেছিল অবশ্য দিল্লী ক্যাপিট্যালস এর বিরুদ্ধে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। এবারের নিলামে পঞ্চাশ লক্ষ্য টাকায় কেনা পদ্মাপাড়ের দেশের অন্যতম সেরা তারকা লিটনের জন্য সে ম্যাচ সুখকর ছিল না বলাই বাহুল্য।ব্যাট হাতে মাত্র চার রান করার পাশাপাশি উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় গোটা কয়েক সহজ ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিং মিসে সে ম্যাচের অন্যতম খলনায়ক হিসেবে বন্দিত বাংলাদেশের সহ অধিনায়ক।এরপর ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে এবং গত পরশু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আর সি বি এর বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি লিটনের।মাত্র এক ম্যাচের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে নাইট ম্যানেজমেন্ট এর এহেন আচরণ কতদূর সমর্থনযোগ্য সে নিয়ে ক্রিকেট মহলে সঙ্গত কারণেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।তবে সেসব প্রসঙ্গের চর্বিতচর্বনের আর প্রাসঙ্গিকতা রইল না কারণ লিটনের আই পি এল অভিযানের এবারের মত পরিসমাপ্তি ঘটল বলেই মনে হচ্ছে।কে কে আর শিবিরের খবর লিটন আজই দেশে ফিরে যাচ্ছেন। সরকারীভাবে অবশ্য পারিবারিক কারনের কথা বলা হলেও মাত্র উনিশ দিনেই লিটনের আই পি এল পরিক্রমার সফর শেষ হয়ে যাওয়ায় নেপথ্য কারণ হিসেবে অন্য সম্ভাবনার কথা উঠে আসাও বিচিত্র নয়। আগামী ৯ ই মে থেকে শুরু হতে চলা আয়ারল্যান্ড সফরের জন্য মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই লিটনের দেশে ফিরে যাওয়ার কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত ছিল।সেই সিদ্ধান্ত বদলের ক্ষেত্রে লিটনের দলে সুযোগ না পাওয়ার অঙ্ক প্রভাব বিস্তার করেছে কিনা সে সম্পর্কিত জল্পনা খুব সঙ্গত হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত।যদিও এই সম্ভাবনার সত্যতার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য কোন ভিত্তি নেই। আয়ারল্যান্ড সিরিজের শেষে কে কে আর প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করলে লিটনের প্রত্যাবর্তনের আপাত বিশ্বাসযোগ্য একটা সম্ভাবনা উজ্জ্বল ছিল।এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটা কতদূর বাস্তবসম্মত সে প্রশ্নটাও অমূলক নয়।