শেষ চৈত্রের প্রবল তাপদাহে বঙ্গবাসী যখন বিপর্যস্ত,সেই উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিতে আসরে হাজির আই পি এল।আজ ক্রিকেটের নন্দন কাননে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এর মুখোমুখি শাহরুখ খানের দল।গত ম্যাচে রিঙ্কু সিং এর অলৌকিক পারফরম্যান্স এর সুবাদে গুজরাট টাইটানস কে ম্যাচের শেষ বলে নাইটদের হারানোর স্মৃতি এখনও ফিকে হয়ে যায়নি। পয়েন্ট তালিকায় নীচের সারির দল হায়দ্রাবাদ এর মুখোমুখি হওয়ার আগে নাইট শিবির স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস এর তুঙ্গে।তিনটে ম্যাচে মাত্র একটা জয় পাওয়া দলের ব্যাটিং বোলিং দুই বিভাগেই যে একাধিক সমস্যা আছে সেটা কিংবদন্তি ব্র্যায়ান চার্লস লারার অভিব্যক্তিতেই পরিস্কার।
দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে কোচ যে আদৌ সন্তুষ্ট নন সেটা বুঝে নিতে অসুবিধা নেই। তাদের প্রতিপক্ষ অবশ্য ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবে বলেই স্বাভাবিক অনুমান।ইডেনের বাইশ গজে আর সি বি এর তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপকে নারাইন -বরুণ- সূযশ এই ত্রিফলায় বিদ্ধ হতে দেখার পর আজকের ম্যাচে যে নাইটদের স্পিন বিভাগ বাড়তি উদ্দীপিত থাকবে সেট বলাই বাহুল্য।সূযশকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করার নীতি অপরিবর্তিত থাকারই সম্ভাবনা।নাইটরা প্রথমে ব্যাট করলে অবশ্য তিন নম্বরে ভেঙ্কটেশ নামবেন। ওপেনিং জুটি নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই। লিটন দাস এসে যাওয়ায় তার মত ফর্মে থাকা মারকুটে ওপেনারকে না খেলানোর বোকামি নাইট ম্যানেজমেন্ট দেখাবে কিনা সেটাও নিশ্চিত নয়। আবার লিটন খেললে গুরবাজ বাদ যেতে পারেন কিন্তু সেক্ষেত্রে তার প্রতি অবিচার হবে বলে মনে করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। তুলনামূলকভাবে নিরাপদযোগ্য অবস্থান হল দুজনকেই খেলানো।তবে চার বিদেশীর কোটা পূরণের ক্ষেত্রে চার নম্বর জায়গা লকি ফার্গুসন এর জন্য বরাদ্দ থাকার সম্ভাবনাই বেশী। রাসেল এখনও পর্যন্ত চেনা ছন্দে না ফিরলেও বহু যুদ্ধের সফল নায়ক ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের প্রতি নাইট ম্যানেজমেন্ট এর অগাধ আস্থার মতবাদ সুবিদিত।কাজেই তিনি ডাগ আউটে বসে থাকবেন এমন দৃশ্য নেহাতই কষ্টকল্পিত। পরিসংখ্যান বলছে দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাসে নাইট বাহিনীর দিকেই পাল্লা ভারী এবং পারস্পরিক শক্তির তুল্যমূল্য বিচারে নাইটরাই অবিসংবাদিত ফেভারিট যদিও কুড়ি কুড়ির ক্রিকেটের তাৎক্ষণিক অনিশ্চয়তার সম্ভাব্য প্রেক্ষাপটে অঘটনের অঙ্ক যে বাস্তবসম্মত তার জলজ্যান্ত প্রমাণ ইডেনের শেষ আই পি এল ম্যাচ।