রনজি ট্রফির দলে ঢোকার দাবি জোরালো সন্দীপনের, রানে ফিরলেন কৌশিক ঘোষ।


বেশ কিছু বছর ধরে দুরন্ত রান করার পরেও বাংলা দলের দরজা খোলেনি একজনের। অপরজন গত মরশুমে রনজি ট্রফির গ্রুপ স্তর থেকে বাদ পড়ার পরে অনবদ্য খেলে ফিরেছিলেন নকআউটের দলে। কিন্তু টিম কম্বিনেশনের কারণে পাননি কোনো ম্যাচ।
আজ সল্টলেকের ভিডিওকন মাঠে তাঁদের দাপটেই পুলিশ এসি দলকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিল ভবানীপুর দল।


আজ শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অভিষেক দাস কিঞ্চিৎ ব্যর্থ হওয়ার পরে অভিষেক রমণের ৮০ রানে ভবানীপুর পৌঁছয় একটু ভালো জায়গায়। তিন নাম্বারে নামা কৌশিক ঘোষের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল অনেকটাই। মরশুম শুরুর পরে চারটি ইনিংসে খুবই কম স্কোরে আউট হচ্ছিলেন কৌশিক। ভবানীপুর কোচ আব্দুল মোনায়েম ‘উইলোর উইল’কে বলেছিলেন “কৌশিক হয়তো রান পাচ্ছেনা, কিন্তু ব্যাটিং খারাপ করেনি।” আজ আব্দুলবাবুর সেই কথার একদম যথাযথ মান রেখে পুলিশ এসির সব বোলারকে সমূলে ধ্বংস করলেন অ্যাডামস। আজ মোট পাঁচজন প্রথম সারির বোলারদের বিরুদ্ধে উইকেটের চারদিকে শট খেলে সর্বমোট ১৫৮ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি।
উল্টোদিকে অধিনায়ক সন্দীপন দাস এই মরশুমে প্রায় সব ম্যাচেই করছেন উল্লেখযোগ্য রান। আজ পুলিশ এসির বিরুদ্ধে ৮৭ রানের ইনিংস ধরলে এই নিয়ে সুপার লিগ ম্যাচে তার রান দাঁড়ালো ৩৮৮। ব্যাটিং গড় ৯৭। এই মরশুমে বিভিন্ন কঠিন সময়ে অধিনায়কের মতো দলকে রক্ষা করেছেন সন্দীপন এবং আজ ফর্মে থাকা কৌশিককে সঙ্গত দিয়ে তার সঙ্গে করেছেন ১৬৯ রানের পার্টনারশীপ।
সন্দীপন ফিরে যাওয়ার পর ঋত্বিক চ্যাটার্জী(১) এবং প্রিয়াংশু শ্রীবাস্তব(১৫) কম স্কোরে ফিরে গেলেও উইকেটরক্ষক অমিত সাঁতরার সঙ্গে জুটি বেঁধে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন কৌশিক ঘোষ ওরফে অ্যাডামস।
দিনের শেষে স্কোরবোর্ডে ভবানীপুর ৪১৬-৫। কৌশিক ঘোষ অপরাজিত ১৫৮ রানে এবং অমিত সাঁতরা অপরাজিত ১৯। পুলিশ দলের হয়ে মহম্মদ আসিফ মনসুরী নিয়েছেন ৫টি উইকেট।