বুমরা ঝড়ে কুপোকাত কেকেআর

শুরুতে ভেঙ্কাটেশ আইয়ারের পরাক্রমী ব্যাটিং এবং পরে নীতিশ রানার বেশ কিছু ভালো স্পিন হিটিংকে পাথেয় করে একসময় কেকেআর এগোচ্ছিল বেশ দুরন্ত গতিতেই। শ্রেয়স আইয়ার আউট হওয়ার পরে রাসেল আসা অবধি ১৩.১ বলে ১২৩ রানে পৌঁছে প্রতিপক্ষকে রীতিমতো ২০০ রান তাড়া করানোর ভ্রূকুটি দেখাচ্ছে কেকেআর। রাইলি মেরেডিথ, কুমার কার্তিকেয় এবং কায়রণ পোলার্ড প্রত্যেকেই ইকোনমি রেটে দুই অঙ্ক পার করে গিয়েছেন। এই তিনজনের মিলিত আটটি ওভারে ১১.৬২ গড়ে ৯৩ রান তুলেছে কেকেআর।


এরপরে রাসেল এসে একটি ছয় মারায় ১৪ ওভারে ১৩৬ তুলে কেকেআরের রান-রেট প্রায় দশ ছুঁই ছুঁই। সেইখান থেকে পরের ৬ ওভারে যে উঠবে মাত্র ২৯ রান এবং রানের সিংহভাগ অর্থাৎ ২৩ রান আসবে রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাট থেকে এটা মনে হয় রাসেল-রানা ঝড়ের অপেক্ষায় থাকা ভক্তকুল দূরতম কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি।
আজ যেন কলকাতা দলের দুঃস্বপ্নের খলনায়ক হয়ে দেখা দিলেন জসপ্রিত জসবীরসিং বুমরা। ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই রাসেলকে একটি ‘টো-ক্রাশিং’ ইয়র্কার দেওয়ার পরের বল শর্ট-অফ লেংথ রেখে ছিলেন এবং রাসেল স্বভাবসিদ্ধ বড়ো শট নিতে গিয়ে ধরা দিলেন লং-অনে কায়রণ পোলার্ডের হাতে। কিছু পরেই আবার রানাকে ফেরানো আরো একটি শর্ট-অফ লেংথ ডেলিভারিতে। বলের বাউন্স বুঝতে না পেরে ব্যাট তুলে দিয়েছিলেন রানা এবং হ্যান্ডেলে লেগে তা কিপারের হাতে।
ঠিক এরপরের ওভার ছিলো সম্ভবত আইপিএলের সর্বোত্তম ওভার। ক্রিজে ভয়ঙ্কর স্ট্রাগল করতে থাকা শেলডন জ্যাকসন পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ড্যানিয়েল স্যামসের হাতে। এরপরে আবার শর্ট বল নারিনকে এবং ডিফেন্ড করতে গিয়ে বোলারকেই ক্যাচ দেন ব্যাটার। কিছু পরে আবার কামিন্স বটম-হ্যান্ডে শর্ট বলকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন।
আজ মোট উইকেটের ৮০ শতাংশ উইকেট বুমরা পেয়েছেন শর্ট বল করে এবং আজ ২.৫০ ইকোনমিতে তাঁর নেওয়া ৫টি উইকেট আইপিএল ইতিহাসে সর্বোত্তম বোলিং ফিগারের তালিকায় পঞ্চম। কেকেআরের প্লেঅফ স্বপ্ন কি শেষ হলো এখানেই? দেখতে হবে আর কিছুক্ষণ।