সেরা দল রোহিতদেরই

প্রত্যাশিতভাবেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হলেন শ্রেয়স আয়ার। বেঙ্গালুরুতে মেগা নিলামের প্রথম দিন যেভাবে জান লড়িয়ে শ্রেয়সকে তুলে নিয়েছিল কেকেআর, তখনই উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। ভাল ব্যাটার তো বটেই, ভাল অধিনায়কও চাই। তাই শ্রেয়সকে নেওয়ার জন্য নিলামে কলকাতা ফ্র‌্যাঞ্চাইজির মনোভাব ছিল, যত দূর যেতে হয় ততটাই যাব। 

ছবি : গুগল

সব মিলিয়ে কেমন হল কলকাতার দল?‌ প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেন নেওয়া হল অজিঙ্কা রাহানেকে?‌ অনেকদিন সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে দূরে তিনি। টেস্টেও ছন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। সেই রাহানেকে কেন নেওয়া হল?‌ কর্তারা বলছেন ওঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে। এমনকী, ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে ওপেনও করতে পারেন রাহানে!‌ ফাটকা?‌ হতেও পারে। অবশ্য বেঙ্কটেশ আয়ারের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে অ্যালেক্স হেলসকেও। এই ইংরেজ ওপেনারকে শেষমুহূর্তে নিয়ে ওপেনারের সমস্যা মেটাতে চেয়েছেন কর্তারা। কেকেআরের ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন হেলস। মিডল অর্ডারে অনেকটা ভরসা করতে হবে শ্রেয়স, নীতিশ রানাদের ওপর। শেলডন জ্যাকসন এবং স্যাম বিলিংস আছেন, কিন্তু প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার কে?‌ প্যাট কামিন্স আছেন, কিন্তু জোরে বোলিং বিভাগে সেই গভীরতা কোথায়?‌ টিম সাউদি কিছুটা ভরসা কি দিতে পারবেন?‌ ভবিষ্যৎই বলবে। বোলিংয়ে শক্তির জায়গা অবশ্যই দুই রহস্য স্পিনার সুনীল নারাইন এবং বরুণ চক্রবর্তী। আবার আন্দ্রে রাসেল, নারাইন, বরুণের ফিটনেস সমস্যা ভোগাতেও পারে।‌

সেরা দল কাদের হল?‌ নিঃসন্দেহে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মার সঙ্গে ঈশান কিষাণ। মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার যাদব, কায়রন পোলার্ড, টিম ডেভিডরা আছেন। নিলামে মুম্বই চমক দিয়েছে জোরে বোলার জোফ্রা আর্চারকে নিয়ে। যশপ্রীত বুমরার সঙ্গে পেস অ্যাটাকে আর্চার যুক্ত হওয়ায় মুম্বইকে সমীহ করতে বাধ্য হবে বাকি দলগুলো। অবশ্য ইংরেজ জোরে বোলার ফিটনেসের তুঙ্গে থেকে খেলতে পারবেন কিনা, নজর থাকবে সেদিকে। মুম্বইয়ের বোলিংয়ে বৈচিত্র আনতে পারেন ইংল্যান্ডের বাঁহাতি জোরে বোলার টাইমাল মিলস। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট এবি ডেভিলিয়ার্সের ‘‌বিকল্প’‌ খুঁজে পেয়েছে। যাঁকে বলা হচ্ছে ‘‌বেবি এবি’‌, সেই ডিওয়াল্ড ব্রেভিসও মুম্বইয়ের বাজি হতে পারে। 

ছবি : গুগল

চেন্নাই সুপার কিংস ‘‌বুড়োদের দল’–এর তকমা পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে পারল না। প্রথম একাদশে নিশ্চিতভাবেই থাকবেন ধোনি, অম্বাতি রায়ডু, ডোয়েন ব্রাভোরা। ধোনির ৪০, ব্রাভোর ৩৮, রায়ডুর ৩৬ বছর বয়স। ফাফ ডুপ্লেসির অভাব বোধ করতে পারে চেন্নাই। তবে তাঁর পরিবর্ত হিসেবে যাঁকে নেওয়া হয়েছে সেই ডেভন কনওয়ের দিকে নজর থাকবে। চেন্নাই দলে নেই কোনও অভিজ্ঞ লেগ–স্পিনার। 

মোটামুটি ভারসাম্যের দল বানিয়ে র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর। নেতৃত্বের বোঝা কাঁধে নেই বিরাট কোহলির। অনেকটা চাপমুক্ত থেকেই জ্বলে উঠতে চাইবেন বিরাট কোহলি। নেতৃত্বের দৌড়ে নিশ্চিতভাবেই আছেন ডুপ্লেসি। ডিভিলিয়ার্সের অভাব ঢাকতে আরসিবি তাকিয়ে থাকবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দিকে। বোলিং বিভাগ বেশ আকর্ষণীয়। জোশ হ্যাজেলউড, মহম্মদ সিরাজের সঙ্গে আছেন হর্ষাল প্যাটেল। নতুন দুই ফ্র‌্যাঞ্চাইজির নেতা হিসেবে লখনউয়ের লোকেশ রাহুল এবং গুজরাটের হার্দিক পান্ডিয়া অভিষেকে কতটা সাফল্য পাবেন, সেটা সময়ই বলবে।