রনজি ট্রফি কেরিয়ার তার শুরু হয়েছিল জয়দেব উনাদকাতকে দুরন্ত একটি অন ড্রাইভ করে। কিন্ত ১০০ ফার্স্ট ক্লাস রান করতে তার লেগে যায় বেশ কিছু ইনিংস। কিন্ত ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে নকআউট ম্যাচেই প্রত্যাবর্তন তার। ১৮৬ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলে প্রত্যাশা পূরণ করেন সুদীপ কুমার ঘরামি। এরপর সেমিফাইনাল ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে যখন তাকে লাগছিল দুরন্ত ছন্দে ঠিক তখনই আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত তাকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে বাধ্য করে।
তার এই ফিরে আসা কিভাবে? সরাসরি কালীঘাট ক্লাবে বসে বললেন সুদীপ কুমার ঘরামি।
প্রশ্ন:- এই বছর রনজি ট্রফির গ্রুপ স্তর খুব ভালো যায়নি তোমার। কিভাবে মোটিভেট করেছিলে নিজেকে?
সুদীপ:- তখন আমি ওখান থেকে ফিরে এসে আমি অনুর্ধ-২৫ ক্যাম্প জয়েন করি। ওখানে কোচ ছিলেন লক্ষী দা(লক্ষীরতন শুক্লা)। লক্ষীদা বলেন যে তোর ব্যাটিং, ফিল্ডিং নিয়ে কোনো কিছু সমস্যা হচ্ছেনা। যা সমস্যা সব মানসিক। তুই যখন ফার্স্ট ম্যাচে রান পাননি তখন তোর মন হয়তো অন্য কিছু ভাবছিল যেটা তোর মনকে তোর স্বাভাবিক খেলার বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। তারপরে অনুর্ধ-২৫ স্তরে বেশ কিছু ভালো পারফরমেন্স করি। সেইখানেই আমার কনফিডেন্স এলো। তারপর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে টুলটুল স্যার(প্রণব নন্দী) ছিলেন, উনি বলেন যে কখনো ভাববে না যে এটা রনজি ট্রফি। লুজ বল একইরকম আসবে। ভাববেনা যে বোলার বড়ো। লুজ বল এলে মেরেই ব্যাট করবে।
আমাকে বাংলার ম্যানেজমেন্ট, অভিমন্যু(ঈশ্বরন) ব্যাক করেছে অনেক।
প্রশ্ন:- তুমি মধ্যপ্রদেশ ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ইনিংসের আউট নিয়ে কি বলবে? কতোটা হতাশাজনক ছিল?
সুদীপ:- হতাশাজনক তো ছিলই, শুধু আমার জন্য নয় বরং পুরো টিমের জন্য। কিন্ত এটা খেলার অঙ্গ। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত থাকতে পারে তাই ওটা নিয়ে কিছু ভাবিনি। ভাবছিলাম যে ডিসিশনটা খুব বাজে সময় এসেছিল কারণ আমি আর অভিমান্যুদা ভালো পার্টনারশীপ করছিলাম।
প্রশ্ন:- ঝাড়খন্ড ম্যাচে ১৮৬ রান করেছ। রুকুদার সঙ্গে কেমন বোঝাপড়া ছিল সেদিন?
সুদীপ:- আমি যখন ব্যাট করতে নামি তখন অভিমন্যুদা ছিল। ও আমাকে বলেছিল বেশি কিছু ভাবিসনা, বল দেখে খেল। নিজে যেমন পারফরমেন্স করেছিস সেইভাবেই খেল।
প্রশ্ন:- এনসিএতে ছিলে অফসিজনটা। কিরকম কাজ হয়েছে ওখানে?
সুদীপ:- ওখানে কাজ ভালোই হয়েছে। রেড বলের জন্য প্র্যাক্টিস যেমন হয়েছে তেমনি ওয়ান ডে, টিটোয়েন্টির জন্য সাদা বলেও আমরা প্র্যাক্টিস করেছি। এখন দেখি কি করতে পারি।
প্রশ্ন:- দলীপ ট্রফিতে এবার তুমি যাচ্ছ। তোমার কিরকম আশা?
সুদীপ:- দেখা যাক প্রথম একাদশে থাকি কিনা। যদি থাকি তবে পারফরমেন্স করবো যাতে জেতানো যায় দলকে। শুনলাম নকআউট ম্যাচ নর্থের সাথে পড়েছে। চেষ্টা করবো যাতে দলকে জেতানো যায় কারণ ওরা বেশ ভালো টিম।