দেশবন্ধু পার্কে তপন মেমোরিয়ালের মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তপন মেমোরিয়ালের তোলা ৩৭৮ রান তাড়া করতে নেমে অঙ্কুর পাল-অর্ক প্রতিম দাস-আমিতোজ সিং সম্বলিত ব্যাটিং লাইনআপ একসময় হয়ে যায় ৬৬-৫। সেইখান থেকে হুগলী জেলার বাঁহাতি ব্যাটার সচিন যাদব এবং অভিজ্ঞ ময়দানী ক্রিকেটার সোহম ঘোষ শুরু করেন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
এই লড়াই স্থায়ী হয় মোট ৫৫৩ বল। রান হয় ৩৮২। শেষ পর্যন্ত সচিন যাদব ১৯৭ রান করেন এবং সোহম ঘোষের খাতায় যায় ১৭০ রান।
সপ্তম উইকেটে এই ৩৮২ রানের পারফরমেন্স করার জন্য আজ ইস্টবেঙ্গলের খাতায় যুক্ত হয় ৭টি পয়েন্ট এবং ম্যাচের সেরাও যুগ্মভাবে হন সোহম-সচিন।
ম্যাচ জিতিয়ে বাড়ি ফিরে সরাসরি ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সোহম ঘোষ ইন্টারভিউ দিলেন “উইলোর উইল”কে।
প্রশ্ন:- ৬৬-৫ থেকে ভালো রান তাড়া করতে নেমে কি ভেবেছিলে? কিভাবে ইনিংস চালাবে?
সোহম:- সেইরকম কিছুই ভাবিনি। দুজন মিলে ঠিক করলাম কালকের দিনটা পুরো খেলতে হবে কারণ উইকেটে ঘাস থাকলেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ৬৬-৫ এটা মানা যায়না। টপ অর্ডার ভালো খেলতে পারছে না। একটা ম্যাচ নয়, দু-তিনটে ম্যাচে হওয়া এই প্রব্লেম আমরা ঠিক করতে চাইছি। সচিন এই মরশুম খুবই ভাল খেলছে। আমি ভেবেছিলাম বল বাই বল খেলবো আর পুরোটা খেলবো।
প্রশ্ন:- ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন কি সাহায্য করলো?
সোহম:- আসলে আমরা প্ল্যান খুব ঠিক করেছিলাম। আমরা অহেতুক বাজে শট নেবো না। প্ল্যান ঠিক করেই আমরা সফল হলাম।
প্রশ্ন:- সুপার লিগে সবুজ উইকেটে একটা ব্যাটারদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়। কিভাবে কাটালে সেই চ্যালেঞ্জ?
সোহম:- আজ আমাদের টার্গেট ছিল কালকের ২৬০-৫ থেকে প্রথম একটা ঘন্টা কোনো বাজে শট না নিয়ে নটআউট থাকবো এবং পরে উইকেট ভালো হবে। প্রথম দিন আর তৃতীয় দিনের উইকেটে একটু পার্থক্য থাকে, এবং ভালোই হয়েছে যে সচিন আজ ভালো খেললো। ৩৭৭ রান তাড়া করতে পেরে বিশেষত ৬৬-৫ থেকে, খুবই ভালো লাগলো।
প্রশ্ন:- আজ ১৭০ রানে আউট। ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়া কতটা আক্ষেপ?
সোহম:- না সেই আক্ষেপ আমার নেই। আমার টিম সাত পয়েন্ট পেয়েছে। দলের ব্যাটিং ইউনিট ভালো খেলছে না। সায়ন শেখর মন্ডল ভালো ব্যাট করছে, ঈশান পোড়েল-আকাশ ঘটক উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতালো, কিন্তু দলগত যে পারফরমেন্স করে ম্যাচ জেতা তা ঠিক হচ্ছে না। ওটাই ঠিক করতে হবে।