বর্তমানে তিনি বাংলা দলের দৌড় থেকে পিছিয়ে পড়েছেন বেশ কিছুটা। একসময় অধিনায়কত্ব করেছিলেন বাংলা অনুর্ধ-১৯ দলে। পরে ২০১২ সালে সদস্য হন ভারতীয় অনুর্ধ-১৯ দলেরও। এরপরে বাংলার হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক করার পরে আজ তিনি ভবানীপুরের অধিনায়ক। চলতি মরশুমে প্রথম অধিনায়কত্ব পেয়ে প্রথমবারেই চ্যাম্পিয়ন করে দেখিয়েছেন। তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে আপ্লুত কোচ আব্দুল মোনায়েমও। তিনি সন্দীপন দাসের মাঠ ও মাঠের বাইরের সমস্ত ব্যাপার সামলানো এবং ঠান্ডা মাথার জন্য তাঁকে ‘ভবানীপুরের সৌরভ গাঙ্গুলী’ আখ্যা দিয়ে দিয়েছেন একেবারেই।
ম্যাচ জেতার পরে ক্লাব-হাউসের সামনে ধরা দিলেন সন্দীপন দাস।
প্রশ্ন:- লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি কেমন?
সন্দীপন:- অবশ্যই ভালো লাগে কারণ লিগ একটা প্রেসটিজিয়াস টুর্নামেন্ট। আমরা ওয়ান-ডে ও টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হেরে গিয়ে লিগে ভালো কামব্যাক করেছি। আব্দুলদা আমাদের খুব ভালো গাইড করেছে, বুঝিয়েছে এবং ভালো সাজেশন দিয়েছে।
লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভালো লাগছে।
প্রশ্ন:- তোমার পারফরমেন্স নিয়ে কি বলবে?
সন্দীপন:- পারফরমেন্স বলতে যতটা পেরেছি টিমের জন্য করতে চেয়েছি। টিম যাতে জেতে সেই চেষ্টাই করেছি। ফাইনালেও হয়তো আরো বড়ো করতে পারতাম কিন্তু সবার ছোট ছোট অবদানে একটা ট্রফি হয়। সবাই অবদান রেখেছে বলেই ট্রফি হয়েছে।
প্রশ্ন:- তোমার একটা ডাবল-সেঞ্চুরি আছে। এই মরশুমে খুব অন-অফ হতে হতে চললো। ডাবল-সেঞ্চুরি কোনো বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।
সন্দীপন:- ডাবল-সেঞ্চুরি অবশ্যই আত্মবিশ্বাস দেয়। যে কোনো রান বা সেঞ্চুরি কনফিডেন্স দেয় তাই এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা একটা মাইলস্টোন। এটা আমার প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরি ফার্স্ট-ডিভিশন খেলায়, তাই এটা একটা আলাদা জায়গায় থাকবে।
প্রশ্ন:- অধিনায়ক হিসেবে এই দল নিয়ে কি বলবে?
সন্দীপন:- এই দল আমার দেখা সেরা। আমি অনুর্ধ-১৯ দল থেকে অধিনায়কত্ব করছি তবে সব বিভাগে এরকম ব্যালান্স কখনো পাইনি। ওপেনিং ব্যাটার থেকে লাস্টে বোলার অবধি সবাই ট্রফি জেতার জন্য খেলেছে, নেহাতই অংশ নেওয়ার জন্য নয়। আব্দুলদা যেভাবে আমাদের বুস্ট করেছে তাতে খুব সাহায্য পেয়েছি।