বারাসাত স্টেডিয়ামে কালীঘাট ক্লাব খেলতে নেমেছিল এই মরশুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। পুলিশ এসির বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে শুভম চ্যাটার্জী, বদুপল্লী অমিতের ব্যাটিং শৌর্য প্রথমদিকে কালীঘাটকে এগিয়ে রাখলেও, দ্বিতীয় দিনে পুলিশ এসিকে নিজের গতি ও মুভমেন্ট দিয়ে সম্পূর্ণ ম্যাচ থেকে নকআউট করে দেন তিনি।
৬-৩৭ বোলিং ফিগার রেখে বারাসাত স্টেডিয়ামে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিলেন প্রীতম চক্রবর্তী। উল্লেখ্য গত মরশুমেও শুরুর ম্যাচেই ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন প্রীতম। এবারও হলো তার পুনরাবৃত্তি।
এরপর ফোন মারফত সরাসরি উইলোর উইলের সঙ্গে-
প্রশ্ন:- কাল যখন বল করতে নামলে তখন কি মাইন্ডসেট বা টার্গেট ছিল?
প্রীতম:- আমরা যেহেতু বড়ো রান করেছিলাম, অনেক স্বাভাবিকভাবে আমরা বল করতে পারছিলাম। প্রতি ম্যাচেই বল করার মাইন্ডসেট এমন থাকে যে যতটা সম্ভব ভালো বল করবো। ভালো বল করাই লক্ষ্য ছিল, যা টিমের চাওয়া ছিল, ব্যাটারকে কোন লাইনে বল করবো-সব মাথায় রেখেই বল করার চেষ্টা করেছি
প্রশ্ন:- উইকেট থেকে কতটা সাহায্য পেয়েছ?
প্রীতম:- উইকেট থেকে প্রথমদিন যতটা সাহায্য ছিল, দ্বিতীয়দিন ততটা ছিলনা। আমার স্বাভাবিক মুভমেন্ট হয় দুটো দিকেই, এই ম্যাচেও তাই হয়েছে। এর কারণেই উইকেট এসেছে।
প্রশ্ন:- মরশুমের শুরুতে এতো ভালো পারফরমেন্স তোমাকে কতটা বুস্ট করবে?
প্রীতম:- অবশ্যই বুস্ট করেছে। এবার এটাকে ধরে রাখাই আসল। আমি মনে করি, উইকেট পাওয়া লাক ফ্যাক্টর। আমি চেষ্টা করবো যাতে ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারি, ভালো বল বেশি করতে পারি। উইকেট তো পরের কথা।
প্রশ্ন:- তোমার আজকের পারফরমেন্সে তোমাদের ব্যাটারদের সাহায্য অনেক?
প্রীতম:- অবশ্যই। কারণ আমাদের ব্যাটাররা এতো রান তুলেছে বলেই আমরা ভালো বল করতে পেরেছি। আমাদের প্রত্যেকটা বোলার ভালো বল করেছে। হ্যাঁ আমি হয়তো উইকেট পেয়েছি, কিন্তু সবাই ভালো করেছে। স্কোরবোর্ডে রান থাকা খুব সুবিধা।