সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প- মুকেশ কুমারের সঙ্গে


বিহারের গোপালগঞ্জ থেকে বাবা যখন কলকাতা এসেছিলেন তখন তিনি ছিলেন কাজের খোঁজে। শেষপর্যন্ত কলকাতার রাস্তায় ট্যাক্সি চালানো শুরু করেন তিনি। চাইতেন ছেলে একটা বড়ো চাকরি করুক। কিন্তু ছেলের ইচ্ছা ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। সেই মতো কালীঘাটের তাঁবুতে ভর্তি হন প্র্যাক্টিসের জন্য। তারপরে সিনিয়র বাংলা দলে অভিষেক ২০১৫ সালে। এরপর বহু বাঁধা পেরিয়ে আজ আইপিএলে দিল্লী ক্যাপিটালস দলে ৫.৫ কোটি টাকায় মুকেশ। এর মধ্যে বাংলা দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি ডাক পেয়েছিলেন ভারতীয় দলে। বর্তমানে এজি বেঙ্গলে রয়েছে তার চাকরিও।


আইপিএল থেকে ভারতীয় – সব নিয়ে মুকেশ কুমারের সঙ্গে ‘উইলোর উইল’-
প্রশ্ন:- অভিনন্দন এতো ভালো খবরের জন্য।
মুকেশ:- ধন্যবাদ।
প্রশ্ন:- কিরকম অনুভূতি এতো বড়ো সুযোগ পাওয়ায়?
মুকেশ:- অনুভূতি খুবই ভালো যে এতো বড়ো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছি। একসাথে প্রাকটিস করবো।
প্রশ্ন:- গতবছর দিল্লী ক্যাপিটালসের নেট বোলার ছিলে। কিরকম অভিজ্ঞতা?
মুকেশ:- ওখানে প্র্যাক্টিস করে খুব ভালো লেগেছে এবং প্র্যাক্টিস ম্যাচও খেলি। ওনারা বিশ্বাস করেন যে আমি পারি, আমার সেই পোটেনশিয়াল আছে। প্র্যাক্টিস ম্যাচে আমাকে নতুন বল দিতেন। অনেক বল করাতেন এটা দেখার জন্য যে আমি কতটা পারছি। এর জন্য অনেকটা ডেভেলপমেন্ট হয়েছে এবং এই বছর মুস্তাক আলী, বিজয় হাজারেতে পারফরমেন্স ঠিকঠাক ছিল। আমি নতুন, পুরোনো দুই বলেই বল করতে পারি।
প্রশ্ন:- ভারতীয় ড্রেসিংরুমের অভিজ্ঞতা কেমন?
মুকেশ:- চাপহীন থাকা একটা বড়ো জিনিস ওটাই আমি শিখেছি। আমি যখন যাই শিখর ধাওয়ান আমার কাছে আসেন এবং বলেন তুমি ডোমেস্টিক ম্যাচে অনেক উইকেট নাও, ভালো প্লেয়ার তুমি। এটায় আমি মনে করি যে আমি বাংলায় যেমন ছিলাম, তেমনই ওখানে। ওনারা ম্যাচের জন্য অনেক প্ল্যান করতেন, সেই অভিজ্ঞতা আমার কাজে লাগে।
প্রশ্ন:- যখন খেলা শুরু করো, বাংলা দলের অনেকে তোমাকে সাহায্য করেন। কি বলবে সেইসব নিয়ে।
মুকেশ:- যখন বাংলা ড্রেসিংরুমে যাই, তখন মনোজদা কিটব্যাগ দেয়, ওঝাভাই(প্রজ্ঞান ওঝা) জুতো দিয়েছিল। আমার খুবই ভালো লেগেছিল।
প্রশ্ন:- বোলার হিসেবে স্ট্রেংথ কি তোমার?
মুকেশ:- আমি নতুন বলে উইকেট নিতে পারি এবং ডেথে রান বাঁচাতে পারি যাতে শেষে ওভারে ১৮-২০ রান থাকলেও আটকাতে পারি।
প্রশ্ন:- পরিবারের অবদান সম্পর্কে কিছু বলো।
মুকেশ:- পরিবারের সবাই আমাকে খুব ভালোবাসেন। একটা সময়ের পর পরিবারের সাহায্য ছাড়া কেউ এগোতে পারেনা। একসময় যখন আমার অর্থের দরকার ছিল, তখনও তারা সাহায্য করেছেন এবং সবসময় পাশে থেকেছেন।
প্রশ্ন:- এইবছর আইপিএলে কিরকম আশাবাদী তুমি?
মুকেশ:- দেখো আমি যতটা সুযোগ পাবো ততটাই কাজে লাগাতে চাই। বোলিং-ফিল্ডিং সবক্ষেত্রেই নিজের অবদান রাখতে চাই এবং ১০০ শতাংশ দিতে চাই