পরপর দুটি বড়ো ম্যাচে সেঞ্চুরি: “উইলোর উইল”-এর মুখোমুখি কৌশিক ঘোষ

দু’বছর আগে ফাইনালে ওঠা বাংলা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে নতুন বল সামলে বাংলার সঙ্কটমুহূর্ত কাটিয়েছিলেন কিন্তু কোথাও গিয়ে একটি বড়ো রান পাচ্ছিলেন না। ওই মরশুমে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ২৯১ রান করলেও তাঁর ইনিংসের বল খেলার গড় বলছে সেই সংখ্যাটা ৬৮।

এই মরশুমে তিনি নেই দলে। কোনো অজানা কারণে ব্রাত্য। অবশ্য এতো কিছুর পরেও বঞ্চনা আঁকড়ে না থেকে বরং সামনের দিকেই তাকাতে চান কৌশিক। তাঁর লক্ষ্য ফিরে আসা এবং আজ মোহনবাগান দলের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে যেন সেটাই প্রমাণ করলেন তিনি।

প্রশ্ন:- পরপর দুটি ম্যাচে সেঞ্চুরি হলো। কেমন লাগছে?

কৌশিক:- ভালো তো লাগবেই। এতদিন পরে ‘ডে’-ম্যাচ হচ্ছে আর বড়ো টিমের সাথে পারফরমেন্স করতে আর ম্যাচ জিততে তো ভালোই লাগে।

প্রশ্ন:- এই ম্যাচের শুরু থেকে তোমার টার্গেট কি ছিলো?

কৌশিক:- টার্গেট বলতে আমরা স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলেছি। কালকের দিনটা আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি এবং অন্য ‘ডে’-ম্যাচে যেরকম রান হয় আমাদের রান তার বেশিই ছিলো এবং একসময় রানরেট ৬ এর ওপর কন্টিনিউ করছিলো। কালকের পর যখন দেখলাম ২৬০ করতে হবে ৬০ ওভারে তখন প্রত্যেকটা প্লেয়ারের মধ্যে একটা বিশ্বাস আসে যে প্রায় ৫৫০ তাড়া হয়ে যাবে। আজ সকাল থেকে সিঙ্গল, ডাবল করে ম্যাচ ছোট করার প্ল্যানেই খেলেছি এবং ১০০ ওভার খেলার সময় নতুন বল নেওয়া হয়। ওই সময় হাতে উইকেট ছিলো বলে রান ভালো করে তাড়া করতে পেরেছি।

প্রশ্ন:- আজকের শুরু থেকে অনেক নতুন শট তুমি খেলেছো। এইগুলো কি আজ লক্ষ্য বড়ো ছিলো বলে?

কৌশিক:- না আসলে শেষ দুই বছরে এতো সাদা বল ক্রিকেট খেলে আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস এসেছে একটু ইম্প্রোভাইজ করার, ভালো বলে রান করার।

প্রশ্ন:- কিছুদিন আগে অবধি তোমার মনোসংযোগে ঘাটতি হচ্ছিলো। সেই সমস্যার সমাধানের জন্য কি কি করেছো?

কৌশিক:- প্রথম দুটো ম্যাচে (ক্লাব ম্যাচে) আমি ভালো স্টার্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০ আর ২৪ এ আউট হয়ে যাই। তখন আমি ভেবেছিলাম যদি ৩০ এ যাই আবার শূন্য থেকে শুরু করবো এবং যখন পঞ্চাশ হবে ওটা একটা মাইলস্টোন। এবং ৫০ এর পর থেকে ক্যারি-ফরওয়ার্ড করা যায়। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হওয়ার পর একটা ছন্দ আসে এবং সেটা এসে গিয়েছে।

প্রশ্ন:– পরপর দুটো বড়ো ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং লিগের সর্বোচ্চ রান স্কোরার। কতটা আশাবাদী তুমি পরের বছর দলে ফেরার ব্যাপারে?

কৌশিক:- টিমের ব্যাপারে আমি তো কিছু বলতে পারব না। আমার কাজ পারফরমেন্স করা এবং এরপর সিলেক্টররা যা মনে করবেন, আমাকে নিয়ে যা ভাববেন। কিন্তু এখন একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমার কাজ পারফরমেন্স করা এবং দলকে জেতানো। এরপর সিলেক্টরদের যদি মনে হয় আমাকে নেবেন তবে নেবেন।