গতবছরের তুলনায় এই বছর মহামেডান দল অনেকটাই শক্তিশালী। দলে এসেছেন তিন প্রাক্তন মোহনবাগানী- জয়জিৎ বসু, নীলকণ্ঠ দাস এবং গীতিময় বসু। কাস্টমস থেকে এসেছেন দীপ চ্যাটার্জী এবং ভবানীপুর থেকে পেসার অলোক প্রতাপ সিংও এসেছেন। বেশ কিছু বছর ধরে গ্রুপ ‘বি’ খেলছে মহামেডান। তবে এবার দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে, মহম্মদ নাসিমের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে অয়ন শুভ্র মুখার্জীর কোচিংয়ে দল গঠন করে ওপরে ওঠার লড়াইয়ে সচেষ্ট।
মহামেডান প্র্যাক্টিস হওয়ার পরে কোচ অয়ন শুভ্র মুখার্জী সরাসরি বললেন “আমরা সব দিক মাথায় রেখেই দল করেছি। ব্যাটিং, অভিজ্ঞতা, বোলিং সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি যাতে একটা অলরাউন্ড পারফরমেন্স আমরা করতে পারি। সব জায়গা ভরাট করেছি। শুরু থেকে লাঞ্চ, লাঞ্চ থেকে টি, টি থেকে দিনের শেষ-সব সময়ে খেলার মতো ব্যাটার এবং সব ফেজে ভালো করতে পারা বোলার নিয়ে আমরা দল বানিয়েছি।”
ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে অয়ন শুভ্র মুখার্জী বলেন “জুনিয়র ছেলে বাদ দিলে সিনিয়রদের মধ্যে জয়জিৎ আছে, গীতি(গীতিময়) আছে, দীপ আছে। এছাড়াও আদিত্য পুরোহিত, অভিজিৎ সিং আছে, সম্বিত-বিরাজ আছে। সব মিলিয়ে ব্যাটিং খুব শক্তিশালী। খুব দরকার পড়লে আমি নিজেও খেলবো। এছাড়াও বাঁহাতি বিকাশ সিং আছে। নতুন বল, পুরোনো বল সব খেলার প্লেয়ার রয়েছে। টিম আর কিই বা ভালো হত এর থেকে?”
পেস বোলিং লাইন আপ সম্পর্কে যথেষ্ট আশাবাদী অয়ন। তিনি বলেন “যেখানে নীলকণ্ঠ, অলোক প্রতাপ আছে। নাসিম নিজে আছে এবং সব মিলিয়ে ৫টা ভালো নাম আছে। স্পিনার হিসেবে আকাশ ভালো বল করছে, সন্দীপ যাদব আছে। বিকাশ জেনুইন অফস্পিনার, জয়জিৎ নিজে বল করে।”
অয়ন আরো জানিয়েছেন “আমি, জয়জিৎ, আজহার টিম নিয়ে সবসময় আলোচনা করি। এছাড়া নাসিম আছে, ও না থাকলে কিছু হতোনা। এছাড়াও দীপক ভাই আছে। সবাই প্রচুর চেষ্টা করেছি।”
এবার কোচ হিসেবে এটাই প্রথম মরশুম অয়ন শুভ্র মুখার্জীর। এই মরশুমকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন অয়ন। এই বছর তার লক্ষ্য ওপরের দিকে ওঠার, অর্থাৎ সুপার ডিভিশনে ওঠার লক্ষ্য তাদের।
মহামেডান দল:-
জয়জিৎ বসু(অধিনায়ক), রবিকান্ত শুক্লা, দীপ চ্যাটার্জী, আদিত্য পুরোহিত, সম্বিত রায়,অভিজিৎ সিং, গীতিময় বসু(উইকেটরক্ষক), রাহুল পাজিয়ার(উইকেটরক্ষক),বিকাশ সিং, বিরাজ কৃষ্ণ,আকাশ বিশ্বাস, বৈভব যাদব, সন্দীপ যাদব,রাহুল দেবকুমার, নীলকণ্ঠ দাস, অলোক প্রতাপ সিং, মহম্মদ নাসিম,নীতিন ভার্মা, ইন্দ্রদীপ পন্ডিত।, অয়ন শুভ্র মুখার্জী(কোচ ও ক্রিকেটার)