“স্ট্রেংথ অনুযায়ী বল করলে উইকেট আসবে জানতাম”- অয়ন ভট্টাচাৰ্য


পাইকপাড়া ক্লাবের বিরুদ্ধে কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে মুখোমুখি হয়েছে মোহনবাগান। পাইকপাড়া দলের হয়ে দিব্য মজুমদারের দুরন্ত প্রতিরোধ এবং পুনীশ মেহতার সেঞ্চুরির সাহায্যে যখন পাইকপাড়া ভালোভাবে এগোচ্ছে ইনিংসে তখনই তাঁদের ব্যাটিংকে ভাঙার ক্ষেত্রে যারা অগ্রণী ভূমিকা নেন তাঁদের একজন অয়ন ভট্টাচাৰ্য। অয়ন চারটি উইকেট নেন এবং শুভম সরকার তিনটি উইকেট নিয়ে ২৯১ রানের মাথায় ধ্বংস করেন পাইকপাড়া ব্যাটিংকে। মোহনবাগান দলের হয়ে ঋষভ মিশ্র সেঞ্চুরি পান এবং বর্তমানে অরিন্দম ঘোষ ৬০ রানে অপরাজিত রয়েছেন এবং সঙ্গে ৯ রানে অপরাজিত অনুষ্ঠুপ মজুমদার। মোহনবাগান দ্বিতীয় দিনের শেষে ২৫৯-৩।


দ্বিতীয় দিনের শেষে ‘উইলোর উইল’কে সরাসরি ইন্টারভিউ দিলেন অয়ন ভট্টাচাৰ্য।
প্রশ্ন:- সিজনের শুরু এতো ভালো হলো চারটে উইকেট পেলে। ব্যক্তিগতভাবে কতটা ভালো লাগছে?
অয়ন:- পার্সোনাল বলতে অনেকদিন বাদে এরকম ভালো ম্যাচ খেললাম আর মোহনবাগান দলের হয়ে খেলাটা সবসময় একটা অন্যরকম ব্যাপার। প্রতি বছর তাগিদ থাকে যাতে ভালো খেলতে পারি। প্রথম ম্যাচে ভালো শুরু করলেও এটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং মরশুমের শুরু থেকেই ভালো প্রস্তুতি নিতে হয়। ভালো লাগছে যে যা করতে চেয়েছি তা করতে পারলাম।
প্রশ্ন:- তুমি প্রথমদিন মির্জা দানিশ আলমের উইকেট পেলে। মির্জা পাওয়ারহিট করছিল শুরু থেকেই। কিভাবে আউট করলে?
অয়ন:- মির্জা এট্যাকিং ব্যাটার। এদের আউট করা সহজ হয় কারণ যখন ওরা ব্যাট করতে নামে তখন ভাবে যে সব বলেই মারবো। আমি একটা প্ল্যানিং করি যে নিজের শক্তি অনুযায়ী বল করবো এবং আশা রেখেছিলাম যে উইকেট পাবো। যেহেতু এরা সব বল মারে, তাই আমি আমার স্ট্রেংথে বল করি এবং উইকেট পাই।
প্রশ্ন:- দিব্য মজুমদারের উইকেট তুমি পেলে। প্রথমদিন খুব সলিড খেলছিল এবং আজ সকালে কি প্ল্যানিং বদলে উইকেট পেলে?
অয়ন:- দিব্য খুব ভালো খেলেছে এবং ম্যাচটা অনেক দূর নিয়ে গিয়েছে। হয়তো বল বেশী করেছে কিন্তু ও ম্যাচ ক্যারি করেছে। আমি ওকে একটা চ্যানেলে বল করছিলাম এবং চেষ্টা করছিলাম যাতে কাট করে বল ভেতরে যায়। অফস্ট্যাম্প এবং ফোর্থ স্ট্যাম্পে বল করছিলাম, পিচে একটু সাহায্য ছিল। প্রণব নন্দী স্যার বলেছিলেন চ্যানেল বোলিং করলেই উইকেট পাওয়া যায়, আমরা সেই বোলিংই করেছি। আমরা সবাই তাই করেছি এবং সফল হয়েছি।
প্রশ্ন:- এই ম্যাচে ওপেনিং স্পেলে বল করছো। এই নতুন চ্যালেঞ্জ কেমনভাবে দেখছো?
অয়ন:- আমার কাছে এটা নতুন নয়। কারণ আমি মোহনবাগানে আগেও খেলেছি এবং নতুন বলে বলও করেছি। আমার কাছে চ্যালেঞ্জ একটাই যে আমি বাংলা দলে ফিরে যাওয়া এবং মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করা। গতবছর ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছি এবং এইবছর মোহনবাগানে বড়ো অ্যাডভান্টেজ হলো প্রণব স্যারের মতো কোচ আছেন। এবার মোহনবাগানের একেবারে নতুন দল এবং তারুণ্যময় দল, সেইখানে একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে লিড করতেই হবে। আমি এই দায়িত্ব খুব উপভোগ করেছি। আমি খুশি হবো কাল ম্যাচ জেতা নিশ্চিত হলে।

ছবি : sportzpoint