যাদবপুর ইউনিভার্সিটির মাঠে মহম্মদ আরিফ আনসারী, প্রসেনজিৎ দাস, সৌগত দত্ত, দিগন্ত নিয়োগী, সোহম ঘোষ সম্বলিত ব্যাটিং লাইনআপ সরাসরি ভেঙে পড়ে বরিশা স্পোর্টিং দলের বিরুদ্ধে। আমিতোজ সিং ঝোড়ো ৭২ রান না করলে আজ ১৬৩ রান তোলাও দুস্কর হত লাল-হলুদের জন্য। আজ ইস্টবেঙ্গলকে বিপাকে ফেলার নায়ক যারা, তাঁদের অন্যতম বাঁহাতি স্পিনার অঙ্কিত মিশ্র। অঙ্কিত আজ ১৩ ওভার বল করে ৫৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলেছেন। তার সঙ্গী প্রীতম বিশ্বাস এবং অনুরাগ তিওয়ারি নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট।
কি কি ছিল আজ প্ল্যানিং? অঙ্কিত সরাসরি বললেন “উইলোর উইল”কে।
প্রশ্ন:- সিজনের শুরু এতো ভালো হলো। কতটা ভালো লাগছে?
অঙ্কিত:- আমার অনেকটাই ভালো লাগছে। রনজি ট্রফি ১৩ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে, তার আগে একটা প্রস্তুতি হিসেবে এই টুর্নামেন্ট হচ্ছে। আমি ভালো করে লাল বলের প্রস্তুতি নিয়ে ভালো শুরু করতে পারলাম। আশা করি রনজি ট্রফি ক্যাম্পেও ভালো করতে পারবো।
প্রশ্ন:- আজকে প্রথম পরিবর্ত বোলার হিসেবে এলে। তোমার কি প্ল্যান ছিল?
অঙ্কিত:- আমাদের সেকেন্ড পেসার খুব ভালো করতে পারছিলো না। আমার কাজ ছিল ওই সময় ব্যবহার করে উইকেটের আদ্রতাকে কাজে লাগিয়ে উইকেট থেকে যদি কিছুটা সাহায্য পাই। আমাকে বলা হয় অ্যাট্যাকিং বল করতে। আমি ওটাই করতে পেরেছি
প্রশ্ন:- আজ চারটের মধ্যে তিনটে উইকেট পেলে- প্রসেনজিৎ দাস, দিগন্ত নিয়োগী এবং সৌগত দত্তর। আলাদা কোনো প্ল্যান ছিল এঁদের বিরুদ্ধে?
অঙ্কিত:- আলাদা কিছু প্ল্যান করিনি। সবার জন্য প্ল্যান ছিল রান আটকে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করা। যেহেতু ব্যাটাররা সবসময় রান খোঁজে, রান চেপে দিলে শট খেলতে অসুবিধা হবে। সুতরাং যখন আমরা রান চেপে দিই, ওরা ট্র্যাপ হয়ে আউট হয়।