দুর্বোধ্য ধাঁধার সামনে অসিরা

আই সি সি কে সরকারি প্রতিবাদপত্র পাঠানোর রাস্তাটাও বন্ধ। যে পিচে দু ইনিংস মিলিয়ে আড়াইশোর চেয়ে সামান্য বেশী রান তুলল অষ্ট্রেলিয়া,একই পিচে প্রতিপক্ষ এক ইনিংসে চারশো করলে অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে কিনা সে প্রশ্ন যথেষ্ট গুরুতর।ম্যাচ শুরুর আগে অষ্ট্রেলিয় প্রচারমাধ্যমের একাংশের দাবী পিচ বিতর্কে কিঞ্চিৎ ইন্ধন জুগিয়েছে সত্যি কিন্তু অসিদের দ্বিতীয় ইনিংসে একটা সেশনেই ৯১ অল আউটের কাহিনী সত্বেও বাইশ গজ স্বাভাবিক ব্যাটিং এর অনুপযুক্ত ছিল এহেন অজুহাতে নিজেদের অদক্ষতার চিত্রনাট্যই প্রতিফলিত হতে বাধ্য।এটা ভেবে খুব আশ্চর্য লাগছে যে ঘূর্ণি উইকেটে নিজেদের প্রয়োগ করার ন্যুনতম প্রচেষ্টা একমাত্র স্মিথ ছাড়া বাকীদের মধ্যে দেখতে পেলাম না।এই সিরিজের প্রাক প্রস্তুতি নিয়ে দিনকয়েক আগেও যে নিরন্তর চর্চা ছিল তার ভিত্তিতে মনে হয়েছিল এবার হয়ত সফরকারী দল কিছুটা তৈরি হয়েই আসছে।” বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচগ্র মেদিনী” ।অতিথিরা এই মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে যে আসেনি সেটা অবশ্য বোঝা গেল স্পিনার ত্রয়ীদের মোকাবিলায় স্বভাবসিদ্ধ জড়তা দেখে। ভারতীয় উপমহাদেশে স্পিন বোলিং নামক ইন্দ্রজালের রহস্যভেদের সঠিক রণকৌশল এর অভাব যেমন প্রথম টেস্টে অসিদের ভোগাল,দ্রুত সংশোধনের পথে না হাঁটতে পারলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রোহিতদের ছাড়পত্র পেতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।পরের টেস্ট দিল্লীতে এবং অনিল কুম্বলের দশ উইকেট প্রাপ্তির ঐতিহাসিক কেন্দ্রে নাগপুর পর্বের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা যে বেশ জোরদার সেটা অনুমান করার জন্য জ্যোতিষী হওয়ার প্রয়োজন নেই। ইনিংস ও একশো বত্রিশ রানে প্রথম টেস্ট হেরে এমনিতেই কামিন্স দের মনোবল আপাতত তলানিতে এবং সেটা পুনরুদ্ধারের জন্য আগামীর লড়াই কঠিনতম সন্দেহ নেই।স্টার্ক বা হ্যাজেলউড কি ফিরবেন পরের ম্যাচে? কিন্তু রাজধানীতের সম্ভাব্য ঘূর্ণি উইকেটে ওদের ভূমিকা কতটা ইতিবাচক হবে সে নিয়ে তর্ক থাকছেই। আপাতত অষ্ট্রেলিয়া শিবিরের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত স্পিন ধাঁধার সমাধানে উপযোগী প্রতিষেধকের খোঁজ করা।নচেৎ পরিত্রাণের আশা সুদুর পরাহত।