অভিষেক টেস্টে টড মারফির চমকপ্রদ সাফল্য অসিদের সামগ্রিক পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ।ভারতের প্রথম ইনিংস ৪০০ তে শেষ অর্থাৎ লিড ২২৩ রানের ।এই ঘাটতি পূরণ করে অষ্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে আদৌ লিড নিতে পারবে কিনা তেমন সম্ভাবনাকে এই মুহূর্তে খুব বাস্তবসম্মত বলে মনে না হওয়ার কারণ সহজবোধ্য।বাইশগজের চরিত্রের ক্রমাবনতির সাপেক্ষে অসিদের দ্বিতীয় ইনিংসের দীর্ঘস্থায়ীত্ব সম্পর্কে বাজি ধরার ঝুঁকি নেওয়া যাচ্ছে না।ম্যাচের আড়াই দিন অবশিষ্ট এমতাবস্থায় সরাসরি বলে ফেলা ভাল স্টিভ স্মিথদের এবার প্রায় অবশ্যম্ভাবী হার বাঁচানোর কঠিনতম লড়াই।
রোহিতের স্পিন ব্রিগেড এই পিচে প্রথমদিন ভেলকিবাজির যে নমুনা দেখিয়েছেন তাতে অতি বড় অষ্ট্রেলিয়া সমর্থকদের অভিধান থেকে বোধহয় আশাবাদ শব্দটির অবলুপ্তি ঘটেছে।প্রথম ইনিংসে স্মিথ আর লাবুশানে বাদ দিয়ে বাকীরা অশ্বিন জাদেজাদের চক্রব্যুহ থেকে বেরোনোর পথ পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে তার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে না চাইলে অসিদের ব্যাটিং লাইনআপকে অলৌকিক কিছু করে দেখাতে হবে।এই ঘূর্ণি উইকেটে ভারতীয় স্পিনারদের খেলা আর অক্সিজেন মাস্ক ছাড়া এভারেস্টে ওঠার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। গতকাল অক্ষর পটেল যে কৌশলে লায়নদের স্বচ্ছন্দে মোকাবিলা করতে পারলেন,স্মিথরা তাতে পারদর্শীতা দেখাতে পারবেন কি? উপমহাদেশের উইকেটে স্পিনারকে সফলভাবে খেলতে গেলে সামনের পায়ের সাহসী ব্যাবহার জরুরি কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ অষ্ট্রেলিয় ব্যাটসম্যানরা এখনও পর্যন্ত সেই দুঃসাহস দেখাতে পারেননি।পাল্টা প্রতি আক্রমনে না গেলে ভারতীয় স্পিন বোলিং এর ত্রিভুজ যে ক্রমশঃ কোনঠাসা করে ফেলবে প্রতিপক্ষকে সে নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।