ভারতের মাটিতে কোন বিদেশী স্পিনারের করা চতুর্থ সেরা বোলিং এর সৌজন্যে নাথান লায়ন সিরিজে অষ্ট্রেলিয়ার প্রত্যাবর্তনের জোরালো সম্ভাবনা জিইয়ে রাখলেন কিনা সে জল্পনা আপাতত নিরর্থক। দ্বিতীয় দিনের শেষে অঘটন না ঘটলে ভারতের হারের ভবিষ্যতবাণী অব্যর্থ হতে চলেছে বলে মনে করার কারণ যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত।
স্টিভ স্মিথরা কাল ৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নামবেন এবং যতই ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে নাথান লায়ন এর সামনে বিপর্যস্ত দেখাক, বাইশ গজ এখনও যে খেলার অযোগ্য হয়ে যায়নি সেটা পূজারা দেখিয়ে দিয়েছেন।শ্রেয়াস আয়ার যখন ক্রমশঃ আগ্রাসী মেজাজে দলকে ম্যাচে ফেরানোর আপ্রান চেষ্টা করছেন,বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে ধৈর্যশীল পূজারার ব্যাটিং এ আলোচ্য জুটির দীর্ঘস্থায়ীত্বের আশা ছিল। উসমান খোয়াজা আর স্টিভ স্মিথ এর দুটো অনবদ্য ক্যাচে সে স্বপ্নের অতল সমাধি।দুই ইনিংসেই ওপেনিং জুড়ি ব্যর্থ হওয়ার পর টেস্ট স্কোয়াডে নিজের অপরিহার্যতার প্রমান দিতে কোহলি উদগ্রীব থাকবেন এমন প্রত্যাশা অঙ্কুরে বিনষ্ট হওয়ার অনিবার্য পরিণতিতে কিং কোহলির গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হলে আশ্চর্য হওয়ার নেই। চাপের মুখেই চ্যাম্পিয়নদের সহজাত চারিত্রিক কাঠিন্য ফুটে ওঠে।এই সুপ্রাচীন প্রবাদে কোহলি যেন আশ্চর্যরকমের ব্যতিক্রম। সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে তার ব্যাট কথা বললেও পাঁচ দিনের ক্রিকেটে দীর্ঘকালীন নিস্প্রভতার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচক মন্ডলী এবার অপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হয় কিনা সেদিকে ক্রিকেট মহলের কৌতুহলী দৃষ্টি থাকবে।
২০০৪ এর মুম্বাই টেস্টে গিলক্রিস্ট এর অষ্ট্রেলিয়াকে চতুর্থ ইনিংসে ১০১ এর টার্গেট দিয়েও শেষ হাসি হেসেছিল টিম ইন্ডিয়া।হোলকার স্টেডিয়ামের বাইশ গজের সঙ্গে সেই খোঁয়াড়ের চরিত্রগত সাদৃশ্য থাকলেও তেইশ বছর আগের রূপকথার পুনরাবৃত্তি ঘটার আশা নিছক ক্রিকেটীয় বোধবুদ্ধির মাপকাঠিতে অলীক কল্পনা বলে মনে হচ্ছে। এবার রোহিতদের রসদ যে যৎসামান্য।৭৫ এর পুঁজি নিয়ে জাদেজা অশ্বিনরা যথাসাধ্য লড়াই করলেই আশাতীত প্রাপ্তি।