গতকাল নাথান লায়ন এর সিংহ বিক্রমে অষ্ট্রেলিয়ার হারানো জমি পুনরূদ্ধারের ইঙ্গিত ছিল। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে আধিপত্য বিস্তারের ফলশ্রুতিতে ম্যাচে নিজেদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হওয়ার যে জোরালো সম্ভাবনা ছিল রবীন্দ্র জাদেজার একটা ঝোড়ো স্পেলে তার অকস্মাৎ তথা কিছুটা অপ্রত্যাশিত সলিল সমাধি।
প্রথম ইনিংসে খোয়াজা,হ্যান্ডসকম্ব এবং সর্বোপরি কামিন্সকেও স্পিনের বিরুদ্ধে যতটা আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রাথমিক আগ্রাসনে অন্তত এটুকু আভাস ছিল দুশোর আশেপাশে লিড নিয়ে যেতে অসিরা মরিয়া থাকবে। সেক্ষেত্রে এই সিরিজের প্রচলিত চিত্রনাট্যে একটা চমকপ্রদ নাটকীয় পট পরিবর্তনের জল্পনাকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হতে পারত। মুশকিল হল এ দেশে আসার আগে স্পিন মোকাবিলায় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যে বাহিনীকে সিরিজ শুরুর আগে বেশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ লাগছিল, সিরিজ যত এগোচ্ছে তাদের ভঙ্গুর মানসিকতা তত বেশি প্রকট হচ্ছে।স্মিথ এই ইনিংসেও যথারীতি স্বভাববিরুদ্ধ জড়তাগ্রস্থ, দুজন ছাড়া আর কেউ দু অঙ্কের রান পেলেন না। জাদেজা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী ভোগাচ্ছেন স্মিথদের।দ্রুত এর প্রতিষেধক আবিষ্কার না করতে পারলে সম্ভাব্য হোয়াইটওয়াশ এর লজ্জাজনক হাতছানি যে ভবিতব্য হতে যাচ্ছে সেটা অষ্ট্রেলিয়া শিবির হয়ত প্রকারান্তরে স্বীকার করে নেবে।
তেমনই কে এল রাহুলের এবার আত্মোপলব্ধি হওয়া উচিত যে আপাতত ড্রেসিং রুম ই ওর উপযুক্ত জায়গা।দূর্বল ফুটওয়ার্কে বারবার সমস্যায় পড়ছেন এটা গাভাস্কার বুঝে গেলেও টিম ম্যানেজমেন্ট কবে বুঝবে সেটা এই মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুতর প্রশ্ন। পরিসংখ্যান বলছে গত দু বছরে রাহুলের টেস্ট ব্যাটিং গড় কুড়ির ও কম এবং এরপরও যদি তাকে ইন্দোরে প্রথম একাদশে দেখা যায় শুভমন গিল এর প্রতি চরম অবিচার করা হবে।