এবার মাঠে নামলেন, ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন – সঠিকভাবে বললে, আই.সি.এ-র তরফে তাঁদের সভাপতি অশোক মালহোত্রা এবং সচিব হিতেশ মজুমদার।
সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দেওয়া (নাকি না-দেওয়া!) নিয়ে ঋদ্ধিমান সাহাকে কোনও এক ‘সম্মানিত’ সাংবাদিকের ‘হুমকি’ দেওয়া প্রসঙ্গে এই সংগঠনের তরফ থেকে ঋদ্ধিকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে কড়া ভাষায় ব্যাপারটির নিন্দা করে আজ এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতীয় বোর্ড যে এই ব্যাপারে তদন্ত করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই বিবৃতিতে সেই সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানানো হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হ’লে ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিও হতে পারে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
গণমাধ্যমে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে এভাবে আচরণ করা মানে সাংবাদিকতার ‘লক্ষ্মণরেখা’ অতিক্রম করা। এমন ব্যবহারের ফলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্রিকেটও।
দেশের সংশ্লিষ্ট সমস্ত সংবাদ সংস্থাগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে যাতে এই জাতীয় ব্যাপার যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে। ক্রিকেটার এবং সাংবাদিকদের মধ্যে সমস্ত সাক্ষাৎকার বা আলাপ-আলোচনা হতে হবে ঐচ্ছিক।
আমাদের বড়ই দুর্ভাগ্য যে এই অতি-মৌলিক আচরণবিধিও আমাদের ক্রিকেটীয় মহলে আলাদা করে দাবি করতে হয় – “it is not cricket” এই বহুব্যবহৃত প্রবাদবাক্যটা আবার মনে পড়ছে – ভারতীয় ক্রিকেট মহল কি তাহলে এখনও আচরণে সাবালক হয়নি [তা সে যতই আমাদের প্রতাপ ক্রিকেটবিশ্বে বাড়ুক না কেন]?
[বিবৃতিটা সঙ্গে দেওয়া হল]