স্মৃতি-হ্যারির কীর্তি

ভারতীয় মহিলা দলের বরাবর বদনাম এই যে ভালো শুরু করেও কোথাও গিয়ে তারা খেই হারিয়ে একেবারে মাঝসমুদ্রে ডুবে যান এবং আজও অন্যথা হচ্ছিলো না। শুরুতেই যাস্তিকা ভাটিয়া একটি ঝোড়ো ৩১ করে গেলে পরবর্তী দুই ব্যাটার অভিজ্ঞ মিতালি রাজ এবং দীপ্তি শর্মা যথাক্রমে ৫ ও ১৫ করে যখন ফিরে গেলেন তখন ভারতের এককালীন অবস্থা ছিলো ৭৮-৩। অন্যদিনের মতো অতটা ধীরগতির না হলেও প্রায় ৬ রানরেটে রানের গতি ঠিক রাখতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলো তিনটি উইকেট।

ক্রিজে ছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। একজন বেশ সেট এবং অপরজন নতুন। এবং এখান থেকেই শুরু হলো সৌন্দর্য আর শক্তির মিশেলে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। তিনটে উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও বাড়তি সতর্কতা দেখিয়ে ব্যাটিংয়ে ক্লিষ্টগতি আনেননি তারা। ক্যারাবিয়ান বোলার শামিল্লা কর্নেল, চিনেল্লে হেনরি থেকে শুরু করে স্পিনার আনিশা মহাম্মদ – প্রত্যেকেই তাদের দৌলতে ইকোনমি রেটে আজ ৬ এর বেশি।

প্রথম ব্যাটসম্যান স্মৃতি মান্ধানার সংগ্রহে আজ ১২৩ রান যা বর্তমানে কোনো ভারতীয় মহিলার বিশ্বকাপে করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এবং এই লিস্টে সর্বোচ্চ যিনি সেই হরমনপ্রীত কৌর করেছেন ১০৯। এবং তাদের মধ্যে হওয়া ১৮৩ রানের পার্টনারশিপ বর্তমানে কোনো ভারতীয় মহিলা জুড়ির করা সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ পার্টনারশিপ।

ভারত ইনিংস নির্ধারিত ৫০ ওভারে শেষ করলো ৩১৭ রানে।