অবিশ্বাস্য জয় ইংল্যান্ডের, ভারত পাত্তাই পেল না!

মাঠে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ১১ জন, কিন্তু গ্যালারিতে আরও প্রায় ৪০ হাজার! ম্যাচ শুরুর বেশ আগে থেকেই অ্যাডিলেইড ওভালের চারপাশে ভারতের জার্সি আর ভারতের স্লোগান ছাড়া আর কিছু নেই। গোটা এলাকা ভারতীয়দের দখলে। গ্যালারি থেকেও তারা সমর্থন দিয়ে গেলেন কণ্ঠের জোর দিয়ে। কিন্তু অ্যালেক্স হেলস ও জস বাটলার যেন অন্য ভূবনের বাসিন্দা! পারিপার্শ্বিকতাকে পাত্তাই দিলেন না দুজন। স্কিল ও স্নায়ুর চ্যালেঞ্জে ভারতকে স্রেফ উড়িয়ে ইংল্যান্ড পা রাখল ফাইনালে।

ম্যাচের আগের বাস্তবতায় শক্তি-সামর্থ্য আর ফর্মের দিক থেকে দুই দলকে আলাদা করা ছিল কঠিন। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে লড়াই জমলই না। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের রান তাড়ায়। ভারতীয় বোলিং নিয়ে ছেলেখেলা করে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যকে মামুলি বানিয়ে ছাড়লেন বাটলার ও হেলস। ১০ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা জুটি গড়ে খেলা শেষ করে দিলেন তারা ২৪ বল বাকি রেখেই।
এবার মেলবোর্নের মহামঞ্চে ট্রফির লড়াইয়ে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। যারা একদিন আগে ধুকতে ধুকতে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে।

এরকম একতরফা ম্যাচ হতে পারে ভাবাই যায়নি। বিরাট কোহলির পরিশীলিত ফিফটির সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড়ো ফিফটিতে ১৬৮ রানের পুঁজি পায় ভারত। এই মাঠের ইতিহাস আর এই বিশ্বকাপের বাস্তবতায় ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল যথেষ্টই কঠিন।
কিন্তু বাটলার ও হেলস এ দিন যে ছিলেন ভিনগ্রহের। উপহার দিলেন অবিশ্বাস ব্যাটিং। বিধ্বংসী রূপ নিয়ে ফুটে উঠল দুজনের ব্যাটে। তাদের থামাবার পথ জানা ছিল না অসহায় ভারতীয়দের।

৭ ছক্কায় ৪৭ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত হেলস, ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ বলে ৮০ রানে অপরাজিত বাটলার। স্রেফ ১৬ ওভারে দুজনের ১৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন বন্ধন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসর মিলিয়ে সব উইকেটেই সেরা জুটি।