সপ্তম নামটি ন্যাটা মিডল-অর্ডার সুরিন্দর অমরনাথের (জন্ম ডিসেম্বর ৩০, ১৯৪৮-এ কানপুরে)। ১৯৭৫-৭৬ অকল্যান্ড টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ৭৬৯) শতরানে কেরিয়ার শুরু করা লালা অমরনাথের জ্যেষ্ঠপুত্র ১৯৭৮-৭৯ অবধি সময়কালে সাকুল্যে দশবার গায়ে চড়াতে পেরেছিলেন দেশের জার্সি। পিতার মতোই ইনিও আর কখনও শতরান পাননি সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটের আসরে।
অষ্টম নামটি কবজির মোচড়ের সূত্রে বিশ্ববরেণ্য মহম্মদ আজহারউদ্দিনের (জন্ম ফেব্রুয়ারি ৮, ১৯৬৩-তে হায়দরাবাদে)। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৮৪-৮৫ কলকাতা টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ১,০০৭) শতরানকারী এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার ঘটনাচক্রে জীবনের প্রথম তিন টেস্টেই হাঁকিয়েছিলেন পরপর তিনখানি শতরান। ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ১৯৯৯-০০ নাগাদ ঠিক ৯৯ টেস্টের মাথায় থমকে যায় এই শিল্পী ব্যাটারের কেরিয়ার। প্রসঙ্গত, ১৯৩৬-এর এই তারিখে বরোদায় জন্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৯৫৮-৫৯ ঘরোয়া সিরিজে ২ টেস্ট খেলা মুম্বইকর অলরাউন্ডার মনোহর হার্দিকরের।
নবম নামটি মুম্বইকর মিডল-অর্ডার তথা রমাকান্ত আচরেকরের নিকট শিষ্যত্বের সূত্রে শচীন-সতীর্থ প্রবীণ আমরের (জন্ম অগাস্ট ১৪, ১৯৬৮-তে বোম্বেতে)। ১৯৯২-৯৩ ডারবান টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ১,২০০) শতরান করা আমরে ১৯৯৩ অবধি সময়কালে খেলেছিলেন ১১ টি টেস্ট।
দশম ও একাদশ নাম দু’টি ইতিমধ্যে এসেছে আমাদের আলোচনায়। যথাক্রমে এঁরা হলেন ১৯৯৬ লর্ডস (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ১,৩২৮) ও ২০০১-০২ ব্লোয়েমফনটেন টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ১,৫৬৪) শতরান হাঁকানো সৌরভ গাঙ্গুলী ও বীরেন্দ্র শেহবাগ।
দ্বাদশ নামটি উত্তরপ্রদেশের ন্যাটা মিডল-অর্ডার সুরেশ রায়নার (জন্ম নভেম্বর ২৭, ১৯৮৬-তে মুরাদনগরে)। ২০১০ কলম্বো (সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব) টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ১,৯৬৬) শতরানকারী রায়না ২০১৪-১৫ অবধি বিস্তৃত কেরিয়ারে খেলেছিলেন ১৮ টেস্ট। প্রসঙ্গত, ১৯৩৫-এর এই তারিখে দিল্লিতে জন্ম ১৯৫৪-৫৫ থেকে ১৯৫৬-৫৭ পর্বে তিনবার দেশের জার্সি গায়ে চড়ানো অলরাউন্ডার প্রকাশ ভাণ্ডারীর। ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লি ও বিহারের পাশাপাশি একদা যিনি প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বাংলারও।
ত্রয়োদশ নামটি দিল্লির মারকুটে ন্যাটা ওপেনার শিখর ধাওয়ানের (জন্ম ডিসেম্বর ৫, ১৯৮৫-তে দিল্লিতে)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০১২-১৩ মোহালি টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ২,০৮১) শতরানে কেরিয়ার শুরু করা ধাওয়ান ২০১৮ অবধি সময়কালে খেলেছেন ৩৪ টেস্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০১৩-১৪ কলকাতা টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ২,১০১) শতরানে কেরিয়ার শুরু করা বর্তমান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার নামটি ইতিমধ্যে এসেছে আমাদের আলোচনায়।
পঞ্চদশ নামটি নিয়েও ইতিপূর্বেই আলোচনা করেছি আমরা। তিনশো তিনের ভিড়ে কনিষ্ঠতম পৃথ্বী শ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০১৮-১৯ রাজকোট টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ২,৩১৯) আবির্ভাবেই করেন শতরান।
বহুক্ষণ থেকেই তিনশো তিনের প্রসঙ্গটা আসছে আলোচনায়। শ্রেয়সকে এঁদের অন্তিম প্রতিনিধি হিসেবে চিনেছিও আমরা। টেস্ট ক্যাপের ক্রমাঙ্কে অমর সিং যে ছিলেন এঁদের পুরোধা পুরুষ তাও জেনেছি ১৯৩২-এর উদ্বোধনী টেস্ট সংক্রান্ত আলোচনায়। দেখে নেওয়া যাক যথাক্রমে পঞ্চাশ, একশো, দেড়শো, দুশো, আড়াইশো ও তিনশোতম প্রতিনিধি হিসেবে কারা কারা হাজির রয়েছেন এই জমায়েতে।
পঞ্চাশতম ভারতীয় টেস্ট ক্যাপের অধীশ্বরের নামটি ইতিপূর্বে এসেছে আমাদের আলোচনায়। বাঙালি পেসার নীরোদরঞ্জন চৌধুরী।
অগাস্ট ৩০, ১৯৩৪। বোম্বেতে জন্ম একশোতম ভারতীয় পুরুষ হিসেবে ১৯৬০-৬১ মরশুমে টেস্ট ক্রিকেটের আঙিনায় পা রাখা মুম্বইকর লেগস্পিনার বালু গুপ্তের। ১৯৬৪-৬৫ অবধি সময়কালে তিনবার যিনি গায়ে চড়াতে পেরেছিলেন জাতীয় দলের জার্সি। রক্তের সম্পর্কে মানুষটি ছিলেন পূর্বোক্ত সুভাষ গুপ্তের অনুজ। বলে রাখি, অগাস্ট ৩০, ১৯৮০-তে মাদ্রাজে জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০০৯-১০ ঘরোয়া সিরিজে ২ টেস্ট খেলা তামিল মিডল-অর্ডার ব্যাটার সুব্রহ্মনিয়ম বদ্রিনাথের।
জানুয়ারি ২, ১৯৫৯। পূর্ণিয়ায় জন্ম দেড়শোতম ভারতীয় পুরুষ হিসেবে ১৯৮০-৮১ মরশুমে টেস্ট ক্রিকেটের আঙিনায় পা রাখা দিল্লির অলরাউন্ডার কীর্তি আজাদের। ১৯৮৩-৮৪ অবধি সময়কালে যিনি খেলেছিলেন ৭ টেস্ট। টেস্ট ক্রিকেটের আসরে বিশেষ দাগ না কাটতে পারলেও কপিলস ডেভিলদের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যে বেশ ভূমিকাই ছিল কীর্তির। বলে রাখি, জানুয়ারি ২, ১৯৬০-এ মীরাটে জন্ম ১৯৮৬-৮৭ থেকে ১৯৮৭-৮৮ পর্বে ৪ টেস্ট খেলা রামন লাম্বার। দিল্লির এই মিডল-অর্ডার ব্যাটারের নির্ভীক মনের পরিচয় মেলে একটি দুঃখজনক ঘটনায়। বাংলাদেশের মাটিতে ক্লাব ক্রিকেটের এক বিশেষ খেলায় ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ব্যাটারের খেলা স্ট্রোকে মাথায় আঘাত লেগে অচৈতন্য হয়ে পড়া লাম্বার মৃত্যু (ফেব্রুয়ারি ২২, ১৯৯৮) হয় হাসপাতালে। অকুতোভয় মানুষটির মাথায় ছিল না হেলমেট।
ডিসেম্বর ১৯, ১৯৬৯। বরোদায় জন্ম দুশোতম ভারতীয় পুরুষ হিসেবে ১৯৯৩-৯৪ মরশুমে টেস্ট ক্রিকেটের আঙিনায় পা রাখা বরোদার উইকেটরক্ষক নয়ন মোঙ্গিয়ার। ২০০০-০১ অবধি সময়পর্বে যিনি খেলেছিলেন ৪৪ টেস্ট। বলে রাখি, ডিসেম্বর ১৯, ১৯৬৬-তে রাঁচিতে জন্ম ১৯৯২-৯৩ থেকে ১৯৯৭-৯৮ অধ্যায়ে ২১ টেস্ট খেলা মধ্যপ্রদেশীয় অফস্পিনার রাজেশ চৌহানের।
আড়াইশোতম ভারতীয় টেস্ট ক্যাপের অধিপতির নামটি এসেছে আলোচনায়। তামিল উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিক।
তিনশোতম ভারতীয় টেস্ট ক্যাপের অধিপতির নামটি এসেছে আলোচনায়। তামিলনাড়ুর ন্যাটা পেসার থঙ্গরাসু নটরাজন।