জুন ১, ১৯৮৫। মাদ্রাজে জন্ম ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৮ অধ্যায়ে ২৬ টেস্ট খেলা তামিল উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিকের।
ডিসেম্বর ১, ১৯৮০। এলাহাবাদে জন্ম ১৯৯৯-০০ থেকে ২০০৬ পর্বে ১৩ টেস্ট খেলা উত্তরপ্রদেশীয় মিডল-অর্ডার ব্যাটার মহম্মদ কাইফের।
অর্থাগমের দিনগুলোর হদিস পাওয়া গেল। কিন্তু টানাটানির দিনগুলোর? এমন দিনেও তো গৃহস্থের ঘরে আসে সন্তান।
মিলখা ও শিবরামকৃষ্ণনের দৌলতে সম্বৎসরের লেনদেন শেষ হতে শুরুতেই দেখেছি আমরা। জানুয়ারি, মে ও অক্টোবরের খাতাও বন্ধ হতে দেখেছি যথাক্রমে সুব্রত গুহ, প্রবীর সেন ও পঙ্কজ রায় এবং সিকে নাইডু ও রামনাথ পার্কারের সূত্রে। একেবারে দেখে নেওয়া যাক বাকি মাসগুলির শেষের খতিয়ানও।
ফেব্রুয়ারি ২৮, ১৯৫১। রাজকোটে জন্ম ১৯৭৪-৭৫ থেকে ১৯৮০-৮১ অধ্যায়ে ৩৯ টেস্ট খেলা সৌরাষ্ট্রর ন্যাটা অলরাউন্ডার কারসন ঘাউড়ির। ইনিংসের শুরুতে মিডিয়াম পেস ও পুরনো বলে বাঁ-হাতি স্পিন দুটোই সমান তালে চালানোর দক্ষতা ছিল যাঁর।
মার্চের পাট চুকে যায় একটু আগেভাগেই।
মার্চ ২৯, ১৯৩০। উদুপিতে জন্ম ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বই ও রাজস্থানের প্রতিনিধিত্ব করা পেসার গুন্ডিবেল শুন্ডেরামের। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৫৫-৫৬ ঘরোয়া সিরিজে যিনি খেলেছিলেন ২-টি টেস্ট।
মার্চ ২৯, ১৯৩৯। বাঁশওয়াড়ায় জন্ম ১৯৬৩-৬৪ থেকে ১৯৬৯-৭০ পর্বে ১৪ টেস্ট খেলা রাজস্থানি মিডল-অর্ডার ব্যাটার হনুমন্ত সিং-এর।
এপ্রিল ৩০, ১৯৮৭। বংশোদে জন্ম মুম্বইকর ওপেনার তথা বর্তমান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার। ২০১৩-১৪ থেকে শুরু করে নিবন্ধটি রচনার মুহূর্ত অবধি খেলেছেন ৪৫ টেস্ট।
জুন ৩০, ১৯৭৩। ব্যাঙ্গালোরে জন্ম ১৯৯৬-৯৭ মরশুমে যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে জোড়া সফরে ৪ টেস্ট খেলা কর্ণাটকি মিডিয়াম পেসার ডোড্ডা গণেশের।
জুলাই ৩১, ১৯১৯। পুনায় জন্ম ঘরোয়া ক্রিকেটে বরোদা, গুজরাট, হিন্দু ও সার্ভিসেসের প্রতিনিধিত্ব করা মিডল-অর্ডার ব্যাটার হেমু অধিকারীর। ১৯৪৭-৪৮ থেকে ১৯৫৮-৫৯ পর্বে ২১ টেস্টে যিনি প্রতিনিধিত্ব করেন দেশের। ঘটনাচক্রে জীবনের শেষ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দিল্লিতে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ৪৬৭) অধিনায়কত্বের দায়িত্বও বর্তায় এঁর কাঁধে।
অগাস্ট ৩১, ১৯৬৯। মহীশূরে জন্ম সমসাময়িক ভারতবর্ষের দ্রুততম পেসার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করা কর্ণাটকি পেসার জাভাগল শ্রীনাথের। ১৯৯১-৯২ থেকে ২০০২-০৩ পর্বে যিনি খেলেছিলেন ৬৭ টেস্ট।
সেপ্টেম্বর ৩০, ১৯৬১। বোম্বেতে জন্ম কিরমানির উত্তরসূরি যাচাইপর্বে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১-৯২ অধ্যায়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে ৫-টি টেস্ট খেলা মুম্বইকর উইকেটরক্ষক চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের। দীর্ঘ প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারে (১৯৭৯-৮০ থেকে ২০০০-০১) বোম্বে অধ্যায়ের পরও যিনি প্রতিনিধিত্ব করে গিয়েছেন আসাম ও মধ্যপ্রদেশের।
নভেম্বর ২৯, ১৯৬২। ব্যাঙ্গালোরে জন্ম পূর্বোক্ত অধ্যায়েই কিছুকালের জন্য দস্তানার দায়িত্ব পাওয়া কর্ণাটকের সদানন্দ বিশ্বনাথের। ১৯৮৫-র শ্রীলঙ্কা সফরে ৩ টেস্ট খেলা এই সুদর্শন উইকেটরক্ষককে ঘিরে আশা ছিল প্রভূতই। কিন্তু খুবই অল্পকালের ব্যবধানে পরপর পিতামাতার মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ক্রিকেট থেকে অনেকটাই ফোকাস নড়িয়ে দেয় বিশ্বনাথের।
এই অবধি খতিয়ানগুলি থেকে ক্যালেন্ডারের একই তারিখে দুই বা তিন ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটারের আবির্ভাবের ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত মেলে। তবে এক যাত্রায় চারজনের ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঘটনা ঘটতে পেরেছে মাত্রই দু’টি তারিখে। ১৮ অক্টোবর ও ২৪ নভেম্বর। দ্বিতীয় তারিখটির খতিয়ানে আগে চোখ রাখব আমরা।
নভেম্বর ২৪, ১৯৩০। পেনে জন্ম চন্দ্রকান্ত পতনকরের। উচ্চশিক্ষিত ভারতীয় ক্রিকেটারদের অন্যতম এই মারাঠি ভদ্রলোক নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৫৫-৫৬ কলকাতা টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ৪১৯) ছিলেন তেকাঠির পাহারায়।
নভেম্বর ২৪, ১৯৪৮। ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরোতে জন্ম অশোক গন্দোত্রার। বিদেশে জন্মানো দেশীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের (এই তালিকায় অবশ্যই আসে না অবিভক্ত ভারতবর্ষেই জন্মানো গোগুমাল কিষেনচাঁদ বা প্রবীর সেনদের নাম) অন্যতম এই ন্যাটা মিডল-অর্ডার ব্যাটার ১৯৬৯-৭০ পর্বে দু’বার গায়ে চাপাতে পেরেছিলেন জাতীয় দলের জামা।
নভেম্বর ২৪, ১৯৬২। বরোদায় জন্ম কর্ণাটকি মিডল-অর্ডার ব্যাটার ব্রিজেশ পটেলের। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭-৭৮ পর্বে ২১ টেস্টে যিনি প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন দেশের।
নভেম্বর ২৪, ১৯৮২। দিল্লিতে জন্ম হরিয়ানভি লেগস্পিনার অমিত মিশ্রর। ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৬-১৭ পর্বে যিনি খেলেন ২২ টেস্ট।
আসা যাক প্রথম তারিখটির খতিয়ানে।
অক্টোবর ১৮, ১৯২৭। কড়কভড়িতে জন্ম মারাঠি মিডিয়াম পেসার তথা পুরনো বলে অফস্পিনও করা রমেশ দিভেচার। অক্সোনিয়ান দিভেচা ১৯৫১-৫২ থেকে ১৯৫২-৫৩ অধ্যায়ে সাদা পোশাকে পাঁচবার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ভারতবর্ষের।
অক্টোবর ১৮, ১৯২৮। আমদাবাদে জন্ম ন্যাটা গুজরাটি অলরাউন্ডার দীপক শোধনের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৫২-৫৩ কলকাতা টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ৩৬০) মাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় পুরুষ হিসেবে অভিষেকেই শতরানে সাড়া ফেলে দেওয়া শোধন আশ্চর্য ভাবে তিনবারের বেশি গায়ে চাপানোর সুযোগ পাননি দেশের জার্সি। এক মরশুমেই শেষ হয়ে যায় এঁর টেস্ট কেরিয়ার।
অক্টোবর ১৮, ১৯৬৮। গোরখপুরে জন্ম মধ্যপ্রদেশের লেগস্পিনার নরেন্দ্র হিরওয়ানির। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৯৮৭-৮৮ মাদ্রাজ (চিপক) টেস্টে (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ১,০৮৯) আবির্ভাবেই ষোলো উইকেট (৮-৬১ ও ৮-৭৫) তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েও ১৭ টেস্টেই থমকে যায় যাঁর কেরিয়ার। ১৯৯৬-৯৭ মরশুমের পর আর গায়ে চাপানো হয়নি দেশের জার্সি।
অক্টোবর ১৮, ১৯৯১। পোরবন্দরে জন্ম সৌরাষ্ট্রের ন্যাটা পেসার জয়দেব উনাদকাটের। ২০১০-১১ সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট (টেস্ট ক্রমাঙ্ক: ১,৯৮৫) খেলেছিলেন যিনি।