তামিলনাড়ুর এন. পি. আর কলেজের মাঠে তামিলনাড়ু অনুর্ধ-১৯ দলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে ২০২২-২৩ মরশুমের কোচবিহার ট্রফিতে নিজেদের প্রথম জয়সূচক পয়েন্ট তুলে নিল বাংলা অনুর্ধ-১৯ দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সৈয়দ ইরফান আফতাব এবং যুধাজিৎ গুহর বোলিংয়ে বেশ চাপে পড়ে তামিলনাড়ু। মহাম্মদ আলী, জগদীশ অরুণকুমার এবং অধিনায়ক বদ্রীনাথ খুব অল্প স্কোরে ফিরে যান। এরপর খেলা ধরেন উইকেটরক্ষক এস. অতীশ এবং মনিকান্দান কার্তিক। অতীশ ৭২ এবং কার্তিক ৮৮ রান করে ফিরে যান এবং এরপর আকাশ দেবকুমার ১৯৮ বল খেলে ধৈর্যশীল ৫৪ রান করে যান। প্রসঙ্গত তামিলনাড়ু শেষ উইকেটের পার্টনারশীপে ২২ ওভারে মাত্র ৩৮ রান ওঠে এবং তারা ৩২০ রানে শেষ হয়।
![](https://willowrwill.files.wordpress.com/2022/11/img-20221108-wa0009.jpg?w=720)
![](https://willowrwill.files.wordpress.com/2022/11/img-20221108-wa0008-1.jpg?w=609)
জবাবে ব্যাট করতে নেমে জমাট লাগতে শুরু করে সায়ন দে এবং সুমিত নাগকে। সায়ন খেলার গতির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ৩২ রানে আউট হয়ে গেলেও সুমিত একইরকম কাঠিন্য বজায় রেখেছিলেন। বাংলার দুই তরুণ প্রতিভা অগ্নিশ্বর দাস এবং চন্দ্রহাস দাস যথাক্রমে মাত্র ৭ ও ১২ রান করে ফিরে যান। অধিনায়ক শশাঙ্ক সিংও ফিরে যান মাত্র ১০ রান করে। এরপর রণিত দেব এবং মিলিন্দ মন্ডলও আউট হন তাড়াতাড়ি। ২৩৭-৬ স্কোরে যখন রীতিমতো ৩২০ দূরের নীহারিকা দেখাচ্ছে তখন একটি ছোটো পার্টনারশীপ হয় সুমিত নাগ ও রাহুল প্রসাদের মধ্যে। সুমিত ১৩৬ রান করে আউট হলেও একটি অসাধারণ ৬১ রানের ইনিংস খেলে বাংলার লিড নেওয়া নিশ্চিত করেন রাহুল প্রসাদ। ৩৪৯ রানে শেষ হয়ে বাংলা লিড নেয় ২৯ রানের।
পরবর্তীতে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষ বল হওয়ার পরে তামিলদের স্কোর দাঁড়ায় ৮২-১।
এই লিড নেওয়ার ফলে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পয়েন্ট তুলে নিল।