সায়নের উজ্জ্বলতা রক্ষা নীলকণ্ঠ বিষে

বিগত কালকের ঘটনা। অম্বরীশ মিত্রকে রাজস্থান মাঠে প্রশ্ন করি যে নীলকণ্ঠ দাসের সবচেয়ে বড়ো উপযোগী দিক কোনটা? তিনি বলেন “সাধারণত পেসাররা শুরুর দিকে বল অফস্টাম্পের বাইরে করে এবং সেইভাবে ব্যাটসম্যানরা সেট হতে থাকে। কিন্তু নীলকণ্ঠ বল করে একদমই উইকেটে আর ওর ইনস্যুইং খুব মারাত্মক যেহেতু বল উইকেটে এন্ড হয়। এভাবেই ম্যাকোদা (শিবশঙ্কর পাল), রণদা (রণদেব বসু) উইকেট পেতো আর ওও পায়, পেস বেশি না হলেও।”

আজ চন্ডীগড় দলের বিরুদ্ধে নিজের তৃতীয় প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলতে নামেন নীলকণ্ঠ। আজ যখন ব্যর্থ দলের মূল বোলার ঈশান পোড়েল তখন সেইভাবেই জ্বলে উঠলেন নীলকণ্ঠ। ওপেনার আরসালান খান, চার নম্বরে নামা অমৃত লাল লুম্বানা এবং উইকেটরক্ষক জাসকারণ জোশিকে আউট করে আজ চন্ডীগড় দলকে প্রায় ফলো-অনের দিকে ঠেলে দিলেন মোহনবাগানী পেসার।

আজ শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আগেরদিনের দুই ব্যাটসম্যান মনোজ তিওয়ারি এবং সায়নশেখর মন্ডল এগোতে থাকেন বেশ স্বচ্ছন্দে। গতদিন ৪২ রানে অপরাজিত মনোজ নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ৫৩ রানের মাথায় হর্নুর সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। বাংলার ল্যাজের কাছে কখনোই খুব ভালো ব্যাটিংয়ের আশা না থাকলেও আজ মুকেশ কুমার ব্যাট করতে থাকেন ভালোই। ক্রিজে অন্য ব্যাটসম্যান সায়নশেখর মন্ডলকে সঙ্গ দিতে এসে ৫৭ বলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ রান করেন মুকেশ। উল্টোদিকে সায়নশেখর মন্ডল ছিলেন স্বচ্ছন্দ। শুরু থেকেই বেশ বাউন্ডারি মারতে থাকেন তিনি। মুকেশের সঙ্গে তার ৭২ রানের পার্টনারশিপ হয়।

ছবি : সিএবি

৪২২ রানের মাথায় মুকেশ কুমার ফিরে যেতে তার পরের বলেই ফেরেন ঈশান পোড়েল। এরপর নীলকণ্ঠ দাস এসে সায়নশেখর মন্ডলের সঙ্গে যুক্ত হলে তাঁরা ১৫ রানের পার্টনারশীপ করেন যার মধ্যে সায়ন করেন ১৪। সায়ন যখন ৯৭ রানে ব্যাটিং তখন জগজিৎ সিং সান্ধুর বলে নীলকণ্ঠ দাস জাসকারণ জোশির হাতে ক্যাচ দিলে নিজের দ্বিতীয় প্রথম শ্রেণীর সেঞ্চুরি মাত্র ৩ রানের জন্য হাতছাড়া করে আসেন সায়ন। বাংলা ইনিংস শেষ করে ৪৩৭ রানে।

এরপর ব্যাট করতে নামলে শুরুতে মুকেশ কুমার এবং পরে নীলকণ্ঠ দাস এবং পরে সায়নশেখর মন্ডল দাপট দেখানো শুরু করলে একের পর এক উইকেট হারানো শুরু করে চন্ডীগড়। দলের হয়ে অধিনায়ক মনন ভোহরা ছাড়া আউট হওয়া কেউই ২০-এর গন্ডি টপকাতে পারেননি।

বর্তমানে চন্ডীগড় ১৩৩ রানে হারিয়েছে ৬ উইকেট। ক্রিজে এ. কে. কৌশিক (৩০) এবং গৌরব গম্ভীর (১১)। সকালের শুরুতে বাংলার পেস-ত্রয়ী যে পুনরায় বিষ ছড়াবেন তাতে সন্দেহ নেই এবং সেখানে জিতে বেরোনো অর্থাৎ বর্তমানে ফলো অন বাঁচাতে প্রয়োজন আরো ১৫৪ রান।

কাজটা কিন্তু বেশ দুরূহ।