বাংলার প্রথম ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ অভিষেক পোড়েল। জয় দিয়ে মরশুম শুরু বাংলার।

ওড়িশার স্কোরবোর্ডে তোলা ৮৬ রান তাড়া করতে নেমে যখন বাংলার ইনিংসের বয়স ৬৪ বল এবং সুদীপ ঘরামি সুশীল বারিকের বলে ফিরে গিয়েছেন ২৯ রান করে তখন ব্যাট করতে নামলেন অভিষেক পোড়েল। ব্যাপারটা অবাক করা হলেও তার নামের পাশে IP শব্দটি পরিষ্কার করে দিল সবকিছু। অর্থাৎ অভিষেক এসেছেন বিসিসিআইয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার” হিসেবে মুকেশ কুমারের পরিবর্তে।


প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুকেশ কুমার-আকাশদীপের সামনে ধরাশায়ী হয়ে পড়ে ওড়িশা। হংকং থেকে আসা ক্রিকেটার অংশুমান রথ, আশীর্বাদ স্বাইন, শুভ্রাংশু সেনাপতি, সমীর মোহান্তি- সবাই বাংলার বোলারদের সামনে অসহায় হয়ে ব্যাট করেন। শুরুতেই মুকেশ কুমার ২টি, ঋত্বিক চ্যাটার্জী ২টি এবং আকাশদীপ ১টি উইকেট তুলে পাওয়ারপ্লের শেষে ওড়িশার স্কোরবোর্ড করে দেন ২৩-৫। এরপর কিছুটা ভালো ব্যাট করেন ওড়িশা অধিনায়ক অভিষেক রাউত। তিনি ২৪ রান করে অভিষেককারী রাণজ্যোৎ সিং খাইরার বলে আউট হয়ে যান।
বাংলার বোলারদের মধ্যে মুকেশ কুমার ১২ রান দিয়ে ৩টি, ঋত্বিক চ্যাটার্জী ২২ রান দিয়ে ৩টি এবং অভিষেক করা রাণজ্যোৎ খাইরা এক ওভার বল করে ৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন। প্রদীপ্ত প্রামাণিক এবং আকাশদীপ একটি করে উইকেট তুলে নেওয়ায় ওড়িশা শেষ হয় ৮৬ রানে।
এরপর ৮৭ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার রাণজ্যোৎ খাইরা প্রথম বলে আউট হলেও পরিস্থিতি সামলে নেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং সুদীপ কুমার ঘরামি। সুদীপ ৩৫ বলে ২৯ করে আউট হলেও অভিমন্যু শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৩৭ রান করে। পরিবর্ত হিসেবে নামা অভিষেক পোড়েল ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে করেন ২০ রান। বাংলা ম্যাচ জেতে আট উইকেট বাকি থাকতে।
বাংলার পরবর্তী ম্যাচ রবিবার তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে।