গতকাল শেষ হয়েছে ২০২২-২৩ মরশুমের সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফি। এরপর আগামী শনিবার থেকে শুরু হতে চলেছে বিজয় হাজারে ট্রফি।
চলতি বছরের টিটোয়েন্টির জাতীয় প্রতিযোগিতা থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল স্তরে হিমাচল প্রদেশের কাছে পরাজিত হয়েছে বাংলা। এর মধ্যে বিগত দুটি বছরে টোয়েন্টিতে প্রভূত উন্নতি করেছে বাংলা। গতবছর ও এই বছর কোয়ার্টার ফাইনালে হারলেও তারা পরাজিত করেছে কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর মতো হেভিওয়েট দলকে।
চলুন দেখে নিই এই বছর কী কী পজিটিভ হলো বাংলার?
১) দুরন্ত লোয়ার অর্ডার:-
বাংলার লোয়ার অর্ডার দুরন্ত পারফরমেন্স করেছে এই বছর টিটোয়েন্টিতে। শাহবাজ আহমেদ-অগ্নিভ পান-ঋত্বিক রায়চৌধুরী সুযোগ পেলেই জ্বলে উঠেছেন ব্যাট হাতে। তাদের দৌলতে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে শেষ ছয় ওভারে প্রায় ১৬ রান প্রতি ওভার গড়ে তুলেছে বাংলা।
শাহবাজ আহমেদ সম্পূর্ণ টুর্নামেন্টে ২০৭ রান করেছেন ৬৯ গড় এবং ১৫৯.২৩ স্ট্রাইক রেট রেখে। অগ্নিভ পান মাত্র ৩৯ বল খেলে করেছেন ৭৩ রান। ঋত্বিক রায়চৌধুরী স্লগ ওভারে দুরন্ত ব্যাট করেছেন।
২) স্পিন চতুষ্টয়:-
হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে হাই স্কোরিং ম্যাচ বাদ দিলে বাকি সব ম্যাচে ছয়ের কম ইকোনমিতে বল করেছেন বাংলার স্পিন চতুষ্টয়।
ঋত্বিক চ্যাটার্জী, শাহবাজ আহমেদ, প্রদীপ্ত প্রামাণিক এবং করণ লাল। সব মিলিয়ে বাংলার স্পিনারদের মোট বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৬২ ওভারে ৩৬৯ রান দিয়ে ২৪টি উইকেট।
সুতরাং এটা বলাই যায় যে পাওয়ারপ্লে থেকে ডেথ ওভার অবধি যে ১০টি ওভার থাকে তাতে অসাধারণভাবে কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলার স্পিনাররা।
বাংলার প্রদীপ্ত প্রামাণিক ১০টি উইকেট তুলে এই মরশুমে বাংলার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী।
৩) ইতিবাচক ব্যাট করা সুদীপ কুমার ঘরামি:-
ঘরোয়া লিগে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দারুণ ব্যাট করা রাণজ্যোৎ সিং খাইরা যখন সম্পূর্ণ ব্যর্থ এবং অভিমন্যু ঈশ্বরণ স্ট্রোক খেলতে না পারার জন্য কম স্ট্রাইক রেটের ফাঁদে পড়ছেন বারবার সেখানে সুদীপ কুমার ঘরামির করা ১১৫.৮৮ স্ট্রাইক রেটে করা ১২৪ রানকে ধরতব্যের মধ্যে নাই আনতে পারেন অনেকে। তবুও তামিলনাড়ু ম্যাচে বাংলার পাওয়ারপ্লের রান ১০ প্রতি ওভার ওঠে শুধুমাত্র সুদীপের ১৯২ স্ট্রাইক রেটের জন্য। এছাড়াও সিকিম ম্যাচে তিনি নম্বরে নেমে ভালো খেলেন সুদীপ।
যদি এই দুটি ম্যাচের মতো ব্যাটিং সুদীপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন টুর্নামেন্টে তবে হয়তো অনেকটাই এগিয়ে থাকতো বাংলা।