সাত বারের মধ্যে তিনবার, লজ্জার বিশ্বরেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ!

এইতো সেদিন। ২৪শে মে, ২০২২। মীরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ইনিংসেই বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। আরও তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই (১৬ জুন) আরও একবার ছয় শূন্যের বিশ্বরেকর্ডে নাম লেখালো টাইগাররা, অ্যান্টিগায়।

বৃহস্পতিবার অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলতে নেমে বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে গেছেন। তাঁরা হলেন: মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোমিনুল হক, নুরুল হাসান সোহান, মুস্তাফিজুর রহমান আর খালেদ আহমেদ। জয় এবং খালেদ মীরপুর ও অ্যান্টিগা এই দুই তালিকাতেই রয়ে গেলেন।

ব্যাটারদের এই ব্যর্থতায় অ্যান্টিগা টেস্টে মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান লড়াকু ফিফটি (৫১) না হাঁকালে লজ্জাটা আরও বড় হতে পারতো।

একশোর নিচে আউট হওয়ার লজ্জা কোনোমতে এড়িয়েছে টাইগাররা। কিন্তু এড়াতে পারেনি লজ্জার বিশ্বরেকর্ড। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ঢাকায় ২০০২ সালে প্রথমবার বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার শূন্য করেছিলেন। সেবার ইনিংসে ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা। এরপর এ বছর লঙ্কানদের বিপক্ষে ছয় ব্যাটার শূন্য করলেও মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাসের মহাকাব্যিক জুটিতে ৩৬৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।

টেস্ট ইতিহাসে ছয় ব্যাটার শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে সাতবার। এর মধ্যে তিনবারই রয়েছে বাংলাদেশের নাম। একবার করে এই লজ্জার রেকর্ডে নাম তুলেছে পাকিস্তান (১৯৮০), দক্ষিণ আফ্রিকা (১৯৯৬), ভারত (২০১৪), নিউজিল্যান্ড (২০১৮)। লক্ষ্যণীয় এই যে এমন জিনিস পাঁচবারই ঘটেছে এই একবিংশ শতাব্দীতে, তার মধ্যে চারবার বিগত এক দশকেরও কম সময়ে।

টিভিতে খেলা দেখানো হচ্ছে না বলে এই ঘটনা বাংলাদেশী জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে পারেনি, কিন্তু যাঁরা কষ্ট বা পকেটের পয়সা খরচ করে খেলা দেখেছেন, তাঁদের বিরক্তি নিশ্চয়ই চরম আকার ধারণ করেছে। আরও একবার অদ্ভুতুড়ে ব্যাটিংয়ের সাক্ষী হয়ে থাকলেন বাংলাদেশের মানুষ!