আজ বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। এর আগে ২০০৪ সালে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথম টেস্টে হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ রফিক ও খালেদ মাসুদ এঁদের সেঞ্চুরিতে ব্রায়ান লারা, শিবনারায়ণ চন্দরপল, রামনরেশ সারওয়ান, ক্রিস গেইলদের বিপক্ষে ড্র আদায় করে নিয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটে নবাগত টাইগাররা। পরের টেস্টটা অবশ্য ইনিংসে জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কিন্তু সবশেষ ২০১৮ সালের ক্যারিবীয় সফরের টেস্ট সিরিজটা পুরোপুরি ভুলে যেতে চাইছে বাংলাদেশ। কারণ দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে মাত্র ৪৩ রানে অল-আউট হয়ে গড়েছিল নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরেছিল তারা।
এর আগে আরো দুটো সফর বাংলাদেশ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ২০০৯ সালে সফরে দুই ম্যাচের সিরিজে ক্যারিবীয়দের উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো শক্তিশালী কোনো দলের বিপক্ষে বিদেশে টেস্ট সিরিজ জেতার স্বাদ পেয়েছিল মাশরাফে মোর্তাজা ও সাকিব আল হাসানের দল।
এর ঠিক উল্টো ফল হয়েছিল ২০১৪ সালের ক্যারিবীয় সফরে। সেবার মুশফিকুর রহিমের অধিনায়কত্বে প্রথম টেস্ট ম্যাচে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচেও পরাজয়ের ব্যবধান ছিল ২৯৬ রানের! ফলে বাংলাদেশ সিরিজ হেরে ছিল ২-০-তে।
২০০৪ থেকে ২০১৮ সবমিলিয়ে বাংলাদেশ দলের ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ সফরের টেস্ট ক্রিকেটকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগে থাকছে ২০১০ সালের আগের দুই সিরিজ। পরের ভাগে ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত খেলা দুই সিরিজ। যেখানে দুই ভাগে মিলেছে দুই রকম অভিজ্ঞতা ও ফলাফল।
এবার আবার অধিনায়কত্বে ফিরে আসা সাকিবের জন্যও এটি নিজেকে প্রমাণের একটি সুযোগ। ২০০৯ সালে তাঁর (ও বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত মাশরাফে মোর্তাজার) অধীনেই ক্যারিবীয়দের হোয়াইট-ওয়াশ করে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। আবার ২০১৮ সালের ভরাডুবিময় সিরিজেও সাকিবই অধিনায়ক ছিলেন। এবার নতুন সিরিজে দলকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবেন সাকিব – এমনটাই প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীরা।