কঠিন পরিস্থিতিতে দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে খুশি সুমন্ত গুপ্ত।

দেশবন্ধু পার্ক মাঠে সিএবির সুপার ডিভিশনের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বরিষা স্পোর্টিং এবং খিদিরপুর স্পোর্টিং।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রাথমিক ঝটকা খেয়ে ২০-৩ হয়ে গেলেও সুমন্ত গুপ্তের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফেরে বরিষা। ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে আসা অনুরাগ তিওয়ারির সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ ভালোই এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। অনুরাগ তিওয়ারি একটা গুরুত্বপূর্ণ ৫২ রানের ইনিংস খেলে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেন টিমকে। এরপর এগোতে থাকেন সুমন্ত। পরে অগ্নিভ পানকে সঙ্গে নিয়ে জুটি বাঁধেন সুমন্ত এবং ব্যক্তিগত ১৯৯ রানের মাথায় আউট হন তিনি। এরপর দলীয় প্রচেষ্টায় ৪০০ রান তোলে বরিষা।

\রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাত্যকি দত্তর অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য রাখতে শুরু করে খিদিরপুর। শুরু থেকেই বেশ ধরে খেলে বড়ো স্কোরর দিকে এগোতে থাকেন সাত্যকি। সাত্যকি সেঞ্চুরি পূর্ণ করার সময় উল্টোদিকে বেশ ছন্দে ছিলেন রোহন রাঠিও(৮০)। কিন্তু হঠাৎ দুজনে আউট হয়ে গেলে একটু চাপে পরে খিদিরপুর। তারপরে রাহুল গুপ্ত ভালো খেলতে খেলতে দেখেন যে তার সঙ্গী হিসেবে আর কোনো ব্যাটার নেই। টেলএন্ডারকে নিয়ে ব্যাট করতে গিয়ে যখন মাত্র ১৮ বাকি তখন একটি ছক্কা মারেন রাহুল এবং এর ঠিক পরে আবার তুলে মারতে গিয়ে অঙ্কিত মিশ্রর বলে ক্যাচ দিয়ে বসেন রাহুল, ফলে খিদিরপুর আউট হয় ৩৮৯ রানে।

ছন্দে সুমন্ত।

ম্যাচের সেরা সুমন্ত গুপ্ত বলেন, “ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়ে খারাপ লাগা অবশ্যই আছে। তবে ২০-৩ থেকে যে দলকে লিগের প্রি-কোয়ার্টারে জেতাতে পেরেছি এটাই অনেক।” সুমন্ত যোগ করেন, “আমাদের কোচের সিদ্ধান্ত ছিল অনুরাগ তিওয়ারিকে আগে পাঠানো। অগ্নিভ পানের আসার আগে ওকে পাঠিয়ে সময় কাটানো লক্ষ্য ছিল। ও সুযোগ দারুণ কাজে লাগিয়েছে।” বোলিং নিয়ে সুমন্ত বলেন, “উইকেটের বিচারে রান কম ছিল। আমরা নতুন বল আসার অপেক্ষায় ছিলাম কারণ পুরোনো বলে কিছু ছিল না, আমরা অপেক্ষা করছিলাম ওদের ভুলের। পার্টনারশীপ ভাঙলে ম্যাচ আমরা বার করে নিতাম।” প্রসঙ্গত শেষদিন লাঞ্চের আগে একটা ওভার বল করতে এসেই বাজিমাত করেন সুমন্ত। ওই ওভার করতে আসার আগে অধিনায়ক প্রিয়ঙ্ক প্যাটেল, অগ্নিভ পান এবং ঋত্বিক রায়চৌধুরীকে জোর করে ওভার নিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন সুমন্ত।

প্রত্যয়ী সাত্যকি।

আজকের ট্র্যাজিক নায়ক ৩০২ বলে ১৩৪ রান করা সাত্যকি দত্ত। সাত্যকির কথায়, “পারফরমেন্সে খুশি হয়েও খুশি হতে পারছিনা কারণ জেতাতে পারিনি। যতটা পেরেছি চেষ্টা করেছে।” স্ট্রাটেজি নিয়ে সাত্যকি বলেন, “আমাকে বলা হয়েছিল যে পুরো ম্যাচটা ধরে খেলতে। ৪০০ রান গরমকালে তাড়া করা কঠিন কাজ। আমি চেষ্টা করছিলাম ধরে খেলার। আজ হয়তো পুরোটা করতে পারিনি, ১০-১১ রানে হেরে গেলাম ম্যাচটা।”