চলতি একদিনের সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে রোহিত শর্মাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে চারবছর আগের দুঃস্বপ্নের পুনরাবৃত্তির আতঙ্ক।দু হাজার উনিশে পাঁচ ম্যাচের একদিনের সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ কোহলির ভারত জিতে যাওয়ার পরও সিরিজ জয় অধরা থেকে গিয়েছিল।শেষ তিনটি ম্যাচ জিতে অ্যারঞ্চ ফিঞ্চ এর নেতৃত্বাধীন অষ্ট্রেলিয়ার নাটকীয় প্রত্যাবর্তনের কাহিনী আজ ইতিহাস এবং সেই অবিশ্বাস্য রূপকথা ফের একবার মঞ্চস্থ হওয়ার সম্ভাবনা যখন উঁকিঝুঁকি মারছে ভারতীয় দল দৃশ্যতই চাপে। মুম্বাইয়ে প্রথম ম্যাচ হেরেও অভাবনীয়ভাবে সিরিজে ফিরে এসেছে অসি বাহিনী এবং তার চেয়েও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে বিশাখাপত্তনমে তাদের অতি আগ্রাসী ক্রিকেট দর্শন।গত তিন বছরে ভারতের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে চতুর্থ দশ উইকেট হারকে নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি বলার কারণ সহজবোধ্য।
২৬ ওভারে কোহলিদের ইনিংস ১১৭ তে খতম করে দেওয়ার পর এগারো ওভারেই সেই রান তুলে দেওয়ার ভঙ্গী ভারতীয়দের শরীরী ভাষা ম্রিয়মান করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।এখন চেন্নাইতে শেষ ম্যাচেও হারলেও সিরিজ খোয়াবার সঙ্গে সঙ্গে দেশের মাটিতে চারবছর পর সিরিজ হারার অনভিপ্রেত নজিরও তৈরি হবে। এমনিতেই চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে টিম ইন্ডিয়ার অতীত পরিসংখ্যান খুব উজ্জ্বল নয়।তেরোটি ম্যাচ খেলে সাতটিতে জয় এবং পাঁচটিতে হার।শেষ পাঁচ ম্যাচে সর্বসাকুল্যে জয় তিন ম্যাচে।স্লো টার্নার হিসেবেই চেন্নাই সুপার কিংসের ঘরের মাঠের সমধিক পরিচিতি এবং সেই অজুহাতে জাদেজা অক্ষররা এখানে সুবিধা পেলে বিপক্ষে অ্যাডাম জাম্পা নামক আতঙ্কের উপস্থিতিও স্বীকার করে নিতে হয়। কিং কোহলির সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বৈরথে যে ভদ্রলোকের পাল্লা ভারী তিনি ছন্দে থাকলে সুইংহীন পরিবেশেও ভারতীয় ব্যাটিং কেঁপে উঠতে বাধ্য। মিচেল স্টার্ক একাই টপ অর্ডারকে যেভাবে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন , বিশেষ করে সূর্যকুমার যাদব যেরকম নাকানিচুবানি খেয়েছেন, রাহুল ব্রিগেডকে শেষ হাসি হাসতে গেলে বাঁ হাতি পেসারের ইনসুইং নামক ধাঁধার সমাধান দ্রুত বের করতেই হবে।নচেৎ স্টিভ স্মিথ আর অ্যারন ফিঞ্চ এর এক বিন্দুতে চলে আসাটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।