আঠাশতম টেস্ট সেঞ্চুরির প্রাক্কালে আমেদাবাদ গ্যালারি যখন ” কিং ইজ ব্যাক টু রুল হিস কিংডম” লেখা প্ল্যাকার্ড তুলে ধরছে,তিন বছর তিন মাস সতেরো দিনের দুঃসহ প্রতীক্ষার অবসান এর ঐতিহাসিক লগ্নে বিরাট রাজাকে যেরকম অবিচল স্থৈর্য সম্বলিত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দেখাচ্ছিল,সেই অভিব্যক্তিতে সুস্পষ্ট অপহৃত সম্রাজ্য পুনরুত্থানে তিনি কতটা মরিয়া।
পূর্ববর্তী সাতাশটার চেয়ে আজকেরটা চরিত্রবিরোধী বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র হলেও সম্ভবতঃ কেরিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অর্জিত।সাবেকী ঘরাণার ক্রিকেটের প্রথাগত নিবিড় আত্মসংযমবিচ্যুত হওয়ার ভ্রান্ত পথের পথিক হিসেবে সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হতে হতে জবাব দেওয়ার উপযুক্ত মঞ্চ এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারত?গোটা ইনিংসে একবারও অনাবশ্যক ঝুঁকি নেওয়া নেই, জীবনের মন্থরতম টেস্ট ইনিংস কিনা সে জল্পনাকালীন পর্বে আগাগোড়াই লক্ষ্যে অবিচল দেখাল বিরাট রাজাকে।এমন নিস্প্রাণ উইকেটে কতটা কৃতিত্বব্যঞ্জক এই তিন অঙ্কের ইনিংস সে বিতর্ক আজকের মত মুলতবি থাকুক। আপাতত নায়কের স্বকীয় মেজাজে পুনরার্বিভাব পুরোদস্তুর উপভোগ করার মুহূর্ত।৭৫ তম আন্তর্জাতিক শতরান কিংবদন্তি পূর্বসূরির মাইলফলক ছোঁয়ায় সরণীতে আরও এক কদম অগ্রগতি ত্বরান্বিত হল কিনা সেটা সময়ই বলবে তবে ” কিং ইজ রিয়েলি ব্যাক” এর স্লোগানে মুখরিত ভারতীয় ক্রিকেট আপাতত বিরাট সৌরভে সুরভিত।
লেখক অনুভব ব্যানার্জী