তপন মেমোরিয়েল দলের বিরুদ্ধে দেশবন্ধু পার্ক মাঠে সুপার লিগে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভবানীপুর ক্লাব।
সকালে ব্যাট করতে নেমেই জমাট ব্যাটিং শুরু করেন অভিষেক দাস এবং অভিষেক রমণ। শুরুতে একটা রান আউট হাতছাড়া হওয়া বাদ দিলে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তপন দল। রমেশ প্রসাদের বল সুইপ করতে গিয়ে রমণ আউট হওয়ার সময় স্কোরবোর্ডে ভবানীপুর ২৯২-১। রমণ করেন ১৩৬। এরপর অভিষেক দাস ১৩৮ রান করে আউট হন। এরপর কৌশিক ঘোষ(১১), বিবেক সিং(৮) কেউই সুবিধা করতে না পারায় দিনের শেষে ভবানীপুর ৩৬৪-৪। ক্রিজে সন্দীপন দাস(৪১ ব্যাটিং), প্রিয়াংশু শ্রীবাস্তব(৪ ব্যাটিং)।
ম্যাচের পরে সরাসরি অভিষেক দাস এবং অভিষেক রমণ ইন্টারভিউ দিলেন উইলোর উইলকে।
প্রশ্ন:- সকালে উইকেট একটু ফাস্ট ছিল। কিরকমভাবে খেলবে ভেবেছিলে?
অভিষেক দাস:- আমার মাথায় কিছু ছিলনা উইকেট কেমন হবে। আমি নিজের খেলায় ফোকাস করি যে সোজা ব্যাট দিয়ে খেলব এবং বাইরের বল ছাড়বো। এইটুকুই আমার ফোকাস ছিল।
প্রশ্ন:- ক্যাচ পড়ছিল, রান আউট মিস হলো, তারপরে কিভাবে খেলছিলে?
অভিষেক দাস:- ক্যাচ সেইভাবে পড়েনি। রান আউট চান্স হয়েছিল ছোটো মাঠে তাড়াতাড়ি রান নিতে গিয়ে। তারপরে আমি আর রমণ সিদ্ধান্ত নিই যে কোনো ঝুঁকির সিঙ্গেল নেবো না, যেটা একদম সিওর রান সেটাই নেবো।
প্রশ্ন:- মাঝখানে ইনিংস এগোচ্ছে তখন অভিষেক দাস মারছিল এবং তারপরে তুমি মারলে। কি প্ল্যানিং ছিল?
অভিষেক রমণ:- সেইরকম কোনো ব্যাপার ছিলনা যে ও মারলে আমি মারবো না। শুরুর দিকে আমার ব্যাটে ঠিক লাগছিল না, পেসারদের একটু অ্যাডভান্টেজ ছিল। আমি চেয়েছিলাম ১৫টা ওভার এগিয়ে নিয়ে যেতে খেলা। আমি জানতাম স্পিনার আর মিডিয়াম পেসার ভালো খেলব।
প্রশ্ন:- কখন তোমরা আত্মবিশ্বাস পেলে যে আজ বড়ো রান হবে?
অভিষেক রমণ:- যখন প্রথম চার মেরেছিলাম তখনই নার্ভ ঠিক হয়ে যায়। আমি আগের ম্যাচে সেকেন্ড ইনিংসে রান পাই। এখানে প্রথম পাঁচ-দশ ওভার খেলার পরে জানতাম আমি রান পাবো।
অভিষেক দাস:- রানের জন্য আমি খেলছিলাম না। আমাকে লক্ষীদা(লক্ষী রতন শুক্লা) কিছু জিনিস দেখিয়েছিল ব্যাটিংয়ের, সেগুলোই ফোকাস করছিলাম। আমি ওই জিনিসটায় ফোকাস করেছি, এখন রান এসেছে এটা ভালো
প্রশ্ন:- কোচ আব্দুল মোনায়েম কি মেসেজ দিয়েছিলেন আজ শুরুতে?
অভিষেক দাস:- আব্দুল স্যার বরাবর খুব সাপোর্ট করেন এবং আজও তাই করেছেন। আমাকে উনি বলেন সোজা ব্যাট দিয়ে খেলতে। সকালবেলা উইকেট একটু বাউন্সি ছিল এবং সিম করছিল সুতরাং স্যার বলেছিল সোজা ব্যাটে খেলবে।
প্রশ্ন:- আজকের সেঞ্চুরিটা কি সারা সাদা বলের টুর্নামেন্টে বসে থাকার একটা জবাব?
অভিষেক দাস:- জবাবের কিছু নেই। টিম কম্বিনেশনের ওপর হয়, সিলেক্টর এবং কোচ যা করেন বাংলা দলের কথা ভেবেই করেন। আমি খেলি এবং বাড়ি যাই, কাউকে জবাব দেওয়ার কিছুই নেই। আমি নিজের এথিক্সে বিশ্বাস করি। আমাকে লক্ষীদা দেখিয়েছে তাতেই ফোকাস করছি। প্রমাণ করার জন্য কিছু করিনি।
প্রশ্ন:- এই সেঞ্চুরিটা রনজি ট্রফি সেমিফাইনালে ব্যর্থতার পরে কতটা আত্মবিশ্বাস দেবে?
অভিষেক রমণ:- সেমিফাইনাল খারাপ গেলেও কোয়ার্টার ফাইনালে আমি রান পেয়েছিলাম। ক্লাব লিগে ভালো খেলেছি, মোহনবাগানের সাথে দুটো সেঞ্চুরি করেছি। সুতরাং ব্যাটিং খারাপ করছিলাম না কখনোই। প্র্যাক্টিস ম্যাচেও ভালো করেছি। আমি নিজেকে কখনোই ডাউট করিনি এবং জানতাম আমি সেট হলে যে কোনো ব্যাটিংয়ের সামনে রান পেতে পারি। সেমিফাইনাল খারাপ লাগে কারণ আমরা জিতিনি। আমি নিজের আত্মবিশ্বাস কখনো হারাইনি।