টি-টোয়েন্টিতে বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ানের ধীরগতির শুরু নিয়ে গত কয়দিন সমালোচনা কম হয়নি। অনেকে মনে করেন, এই কারণেই এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গেল মুদ্রার উল্টো পিঠ। বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটির কাছেই রীতিমতো হার বরণ করল ইংল্যান্ড।
স্যাম কারেনের বলটা অফ সাইডে ঠেলে সিঙ্গেল নিলেন, নন স্ট্রাইক প্রান্তে ক্রিজে পৌঁছে দিলেন লাফ। সঙ্গে গর্জন। বাবর আজমের চোখেমুখে এরপর দেখা গেল স্বস্তির ছাপ। এশিয়া কাপে নিস্প্রভ ছিলেন, স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল, আলোচনা ছিল ওপেনিংয়ে ব্যাটিং নিয়েও। বাবর সব কিছুর জবাব দিলেন করাচিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে। ওই শটেই পেয়ে গেলেন ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
বাবরের রেকর্ড সেঞ্চুরি, মহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে তাঁর রেকর্ড জুটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ২০০ রানের লক্ষ্যে বাবর খেললেন ৬৬ বলে ১১০ রানের ইনিংস, মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে গড়লেন ২০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটি। তাতেই ১০ উইকেটের জয় পেল পাকিস্তান, সিরিজে সমতা আনলো ১-১ ব্যবধানে। রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন ৫১ বলে ৮৮ রানে।
বাবর-রিজওয়ানের জুটি রান তাড়ায় টি-টোয়েন্টিতে এখন সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ড ছিল এ দুজনেরই, গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁরা গড়েছিলেন অবিচ্ছিন্ন ১৯৭ রানের জুটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও এটি রেকর্ড রান তাড়া। আর বাবর প্রথম পাকিস্তান ব্যাটসম্যান হিসেবে পেয়েছেন একাধিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
এর আগে টস জিতে আলেক্স হেলসের ইংল্যান্ড কিন্তু খারাপ খেলেনি। মঈন আলি ও বেন ডাকেটদের বিধ্বসী ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৯ রান করে ইংল্যান্ড। ম্যাচ উইনিং স্কোর। কিন্তু ভারতের মতো ইংল্যান্ড পারল না প্রতিপক্ষের ঘাড়ে দুশো রানের পুঁজি চাপিয়েও। আসলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও যে ২০০ রান যথেষ্ট নয় তা বুঝে গেল ভারত ইংল্যান্ড!