ইউএই-তে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে ভারত কি পারবে ৩৮বছরের রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখতে?

এশিয়া কাপ ক্রিকেট এই নিয়ে চতুর্থবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হতে চলেছে। তবে আগের সব খেলাই ওয়ানডে ফর্ম্যাটে হয়েছে। এবার আমিরাতে হবে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে।

তবে যে বিষয়টি এখানে আলোচ্য বিষয় তাহলো এখন পর্যন্ত, ইউএইতে আয়োজিত চারবার এই প্রতিযোগিতা হয়েছে। প্রতিবারই এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এই রেকর্ড গত ৩৮ বছর ধরে ভারত অক্ষত। রোহিত শর্মার নেতৃত্বেও ভারতীয় ক্রিকেট দল এবার এই রেকর্ড অক্ষত রাখতে পারবে কি?

ফিরে দেখা যাক আমিরশাহি-তে ভারতের সাফল্যের দিকগুলো।

প্রথম এশিয়া কাপ হয়েছিল ১৯৮৪ তে। সেবার অবশ্য ফাইনাল হয়নি। লিগ রাউন্ডের পারফরম্যান্সের ওপরে ভিত্তি করেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এই তিনটি দল খেলেছিল। ভারত পাকিস্তানকে ৫৪ রানে এবং শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল। দুটি ম্যাচেই হেরেছিল পাকিস্তান।

১৯৯৫ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল আরব আমিরশাহিতে। সেবার ছিল মোট ৭টি দল। ভারত লিগ রাউন্ডে ৩ টি ম্যাচের মধ্যে ২ টিতে জয় পেয়েছিল ফলে তারা টেবলের একদম ওপরে ছিল৷ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল। তবে সেবার ভারত পাকিস্তানের কাছে লিগ পর্বে ৯৭ রানে হেরেছিল। এদিকে ভারতকে হারালেও ফাইনালে উঠতে পারেনি পাকিস্তান।
ফাইনাল খেলা হয়েছিল ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার। ম্যাচে প্রথমে খেলতে নেমে ৭ উইকেটে ২৩০ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে টিম ইন্ডিয়া ৪১.৫ ওভারে২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়৷ নভজ্যোত সিং সিধু ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন ৯০ রান করেছিলেন।

২০১৮ সালে আরব আমিরশাহিতে শেষবার এশিয়া কাপ হয়েছিল। সেবারে মোট ৬টি দল অংশ নিয়েছিল। গ্রুপ রাউন্ডের দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল ভারত৷ পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। এরপর সুপার-ফোরে ৩ ম্যাচের মধ্যে জিতেছিল ২টি ম্যাচ। একটি ম্যাচ টাই হয়েছিল। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে এবং পাকিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল। আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ টাই হয়েছিল।
ফাইনাল খেলা হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২২২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। কুলদীপ যাদব নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। শেষ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছিলেন রোহিত শর্মা।

টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হচ্ছে এশিয়া কাপ। ২০১৬তেও প্রথমবারের বাংলাদেশে এভাবে এশিয়াকাপের আয়োজন করা হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে খেতাব জিতে নেয় ভারত। বাংলাদেশের ১২০ রানের জবাবে ভারত ১৩.৫ ওভারে ২ উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়৷ শিখর ধাওয়ান ৪৪ বলে ৬০ রান করেছিলেন।