টেস্টে নেই বাংলাদেশের মেয়েরা, খেলবে ২৪ ওয়ানডে ও ২৬ টি-টোয়েন্টি

প্রথমবারের মতো মহিলা ক্রিকেটের জন্য ভবিষ্যত সফর সূচি (এফটিপি) প্রকাশ করেছে আইসিসি। ২০২২-২৫ চক্রের এই এফটিপিতে বেড়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের ওয়ানডে ও টেস্ট সংখ্যা। বিপরীতে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পরও এই চক্রে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের মেয়েদের মাঠে নামা হবে না। 

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে মেয়েদের এফটিপি প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইসিসি। সেই সূচি অনুযায়ী চলতি বছরের মে থেকে শুরু হয়েছে এই চক্র। এই চক্র শেষ হবে ২০২৫ সালের এপ্রিলে। একই বছর ভারতে বসবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ।

কিছুদিন আগেই মহিলা ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর ঘোষণা করে আইসিসি। র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০ দল এই টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী দলগুলো আটটি দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। একমাত্র ইংল্যান্ড ছাড়া সব দেশের বিপক্ষেই সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

এই চ্যাম্পিয়নশিপের আট সিরিজের চারটি ঘরের মাঠে ও বাকিগুলোর খেলবে বিদেশের মাটিতে। মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে ভারত, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ এই সিরিজ খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে।

এই চ্যাম্পিয়নশিপের ওয়ানডে সিরিজের পাশাপাশি দলগুলোর সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে টাইগ্রেসরা। ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলার কথা থাকলেও বাকিদের সাথে খেলবে তিন ম্যাচের সিরিজ।

আইসিসি ভবিষ্যত সফর সূচিতে মোট ৭ টেস্ট, ১৩৫ ওয়ানডে ও ১৫৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজিত হবে। এর মধ্যে ২৪ ওয়ানডে ও ২৬ টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। টেস্ট স্ট্যাটাস পেলেও এই সফর সূচিতে টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এই চক্রে টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে চার দেশ। সেগুলো হলো- ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত।

এই সূচির বাইরেও অবশ্য দেশগুলো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশে আয়োজিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর এই দুই টুর্নামেন্টের জন্য অনেক দেশকেই খেলতে হবে বাছাইপর্ব। তাই স্বাভাবিকভাবেই টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ বাড়বে।

ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা বাড়ার সুযোগও রয়েছে। আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা পাঁচে না থাকতে পারলে ২০২৫ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারবে না কোনো দলই। তখন তাদেরকে বাছাইপর্ব পেরোনোর লড়াইয়ে নামতে হবে। সেখানেই বাড়তে পারে এই চক্রের ওয়ানডে ম্যাচ সংখ্যা।

এই প্রথমবারের মতো মহিলা ক্রিকেটের জন্য কোনো এফটিপি প্রকাশ করলো আইসিসি। বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাও বেশ উচ্ছ্বসিত। প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান জানিয়েছেন, বিষয়টি মহিলা ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।

তিনি বলেন, “মহিলা ক্রিকেট এখন আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হচ্ছে। সবার মধ্যে বিষয়টি ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে এফটিপি। এটা কেবলমাত্র শুরুর কাঠামো, ভবিষ্যতে আরও বেশি ম্যাচ আয়োজন করা হবে।”

বাংলাদেশের মেয়েরা টেস্ট খেলার সুযোগ না পেলেও ভারতীয় মেয়েরা ঠিকই এই সুযোগ পাবে। আগামী তিন বছরে ভারতের মেয়েরা খেলবে দুই টেস্ট। সর্বোচ্চ ৫ টেস্ট খেলবে ইংলিশ নারীরা।