ক্লাব-হাউসের লোয়ার-টায়ার গ্যালারিতে বসে থাকতে থাকতে একটা আওয়াজ ভেসে আসছিল মাঝে মাঝে। বলা ভালো এলো দুবার।
প্রথমবার পুলিশের গাড়ির সেই পরিচিত শব্দ ভেসে আসার পাঁচ মিনিট পরে একে একে মাঠে প্রবেশ করতে থাকলেন রাজস্থান রয়্যালস দলের সদস্যরা। সর্বপ্রথম এলেন কুমার সাঙ্গাকারা এবং লাসিথ মালিঙ্গা। এরপরেই আসতে থাকলেন জস বাটলার, প্রষিদ্ধ কৃষ্ণ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল প্রমুখরা। শিমরণ হেটমায়ার ঢুকলেন সঙ্গে করে একটি মস্ত ব্লু-টুথ স্পিকার নিয়ে।
দ্বিতীয়বার গাড়ির আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে ঢুকলেন গুজরাট টাইটান্স কোচ আশিস নেহরা এবং পরপর এলেন শুভমান গিল, রশিদ খান, আলজারি জোসেফ সবাই। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এসেই গেলেন পিচ পরিদর্শনে। সবশেষে প্রবেশ করলেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। কিছুক্ষন ড্রেসিংরুমের বাইরে দাঁড়ানোর পরে তিনিও ঢুকে গেলেন ড্রেসিংরুমে।
প্র্যাক্টিসে দেখা গেলো দুই প্র্যাক্টিস উইকেটের সামান্য বাইরে সম্পূর্ণ রান-আপ নিয়ে বল করছেন রাজস্থানের ট্রেন্ট বোল্ট এবং গুজরাটের লকি ফার্গুসন। কিছুক্ষন পরে ফার্গুসনকে সঙ্গ দিতে এলেন রশিদ খান। নেট প্র্যাক্টিস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গেলো প্যাড পরে তৈরী রাজস্থান রয়্যালস ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল। গুজরাট দলের হয়ে দু’টি নেটে নেট শুরু করলেন দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। অনেকক্ষন নকিং করার পরে পেসার খেলতে এলেন সাহা। শামির বলে দুবার বিট হওয়া ছাড়া বেশ স্বচ্ছন্দ ছিলেন তিনি, এছাড়া শুভমান ছিলেন সম্পূর্ণ ছন্দে।
একে একে নেট প্র্যাক্টিস করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন খেলোয়াড়রা এবং দেখা গেলো বেশ অনেকক্ষণ রেঞ্জ-হিটিং প্র্যাক্টিস করছেন হেটমায়ার।
প্র্যাক্টিস ছাড়াও উল্লেখ্য ব্যাপার অবশ্যই সিএবির ম্যানেজমেন্ট। চরম ব্যস্ততার মধ্যেও সবদিক দেখে শুনে এবং নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র রেখে চলেছে সিএবি। আলোকসজ্জায় সম্পূর্ণ মাঠ দারুণভাবে আলোকিত হয়েছে এবং মাঠে থাকা গ্রাউন্ড কভারেও উন্নতি এনেছে তারা। আজ সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে মাঠ পরিদর্শনে এসেছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী এবং ব্যবস্থাপনায় বেশ খুশি সৌরভ।
পিচের চরিত্র অনুযায়ী হয়তো হবে স্পোর্টিং উইকেট। সেক্ষেত্রে উইকেটে যেমন রান থাকবে, তেমনই ভালো বল করলে বোলারও পাবেন উপযুক্ত পুরস্কার। কেমন হয় খেলা? জানতে আর একদিনও বাকি নেই।
এই প্রতিবেদনের সঙ্গে থাকা ছবি অন্যত্র ব্যবহারযোগ্য নয়।