হাওয়ায় কয়েকটা খবর উড়ে বেড়াচ্ছে –
১. রোহিত, বুমরা, রাহুলদের নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্রামে পাঠানো হচ্ছে।
২. এ কারণে অধিনায়ক হিসেবে দুজনের নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে।
শিখর ধাওয়ান অথবা হার্দিক পান্ডিয়ার মধ্যে যেকোন একজনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে ‘নাকি’।
‘নাকি’, কারণ “উইলোর উইল” এই খবরের সত্যতা যাচাই করছে না। কিন্তু, একটা কথা তো মানতে হবে যে, রোহিতের সঙ্গে নতুন এই অধিনায়কের একটা প্রতিযোগিতা আপনা থেকেই তৈরি হয়ে যাবে। সবেমাত্র নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন রোহিত, এই অবস্থায় কি বিশ্রামটাকে এড়ানো যায় না? অবশ্য এটাও ঠিক যে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পরই টিম ইন্ডিয়া উড়ে যাবে ইংল্যান্ড। যেখানে একটি টেস্ট ও ৬টি সীমিত ওভারের খেলায় অংশ নিতে হবে। অর্থাৎ আইপিএলের পরে যদি এঁরা বিশ্রাম না নেন, আরও বেশি ক্লান্তিতে ভুগতে শুরু করবেন। আমি নিশ্চিত, নির্বাচকরাও এই ব্যাপারে সরাসরি রোহিতের সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন। তিনি যদি বিশ্রাম না নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চান, নির্বাচকরা অবশ্যই স্বাগত জানাবেন। কিন্তু কথা হল যদি তিনি বিশ্রাম চান, তাহলে অধিনায়ক কে হবেন? গতবছর শ্রীলঙ্কায় যখন বিরাট, রোহিত ছিলেন না, নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিল শিখর ধাওয়ানের কাঁধে। তার জায়গায় হঠাৎ করে হার্দিক পান্ডিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত? অধিনায়ক হিসেবে খুব বেশি অভিজ্ঞতা না থাকলেও আইপিএলে কিন্তু চমৎকার নেতৃত্ব দিচ্ছেন গুজরাট টাইটান্স-এর হয়ে, হয়তো ফাইনালেও খেলবেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন একজন অধিনায়ক রিং-এ আমন্ত্রণ জানানো ঠিক হবে? এটা ঘটনা, ভারতীয় ক্রিকেটে এখন গুজরাটের অপরিসীম ক্ষমতা। এই ক্ষমতার অলিন্দে থাকা কর্তারা অবশ্যই চাইবেন যে হার্দিককেই দায়িত্ব দেওয়া হোক। আর তা করতে যাওয়ার অর্থ শিখরকে একটা ধাক্কা দেওয়া। অকারণ ধাক্কা দেওয়া। এবং রোহিতের সঙ্গে একটা পাঞ্জা লড়িয়ে দেওয়া। আশা করব নতুন অধিনায়ক রোহিতকে ঠান্ডা মাথায় নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিতে চাইবেন কর্তারা। ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থে এটা জরুরি। এবছরই ভারতকে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে বিশ্বকাপ খেলতে। সেখানে রোহিতের ডেপুটি কে হবেন? রাহুল? হার্দিক? নাকি অন্য কেউ? এতজন অধিনায়কের উপস্থিতিতে গাজন নষ্ট হতেই পারে। “উইলোর উইল” শুধু সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ছবিটা তুলে ধরছে। নেটিজনরা যেন ভেবে না বসেন, আমরা এই খবরটা নিয়ে বাজার গরম করার চেষ্টা করছি।