মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সমগ্র ২০২২ আইপিএল মরশুম মিলে মোট ৯টি ম্যাচে করেছিলেন ১৩১ রান। একটি অর্ধশতরান বাদ দিলে সম্পূর্ণ টুর্নামেন্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিলো ১০.১২ এবং স্ট্রাইক রেট শোচনীয় ১১০।
বিগত মরশুমে দ্বিতীয় ফেজে যাঁরা ভেঙ্কটেশ আইয়ারের পারফরমেন্স রীতিমতো দেখেছেন তাঁরা জানেন মাত্র ১০টি ম্যাচে ৩৭০ রান করেছিলেন আইয়ার এবং ৪টি অর্ধশতক সহ তাঁর প্রতিটি ইনিংস কেকেআরের ফাইনাল খেলার ইমারতসম স্বপ্নের বাস্তবায়নে প্রচুর সাহায্য করেছিল।
এই মরশুমে হঠাৎ করে হতাশাজনক পারফরমেন্স শুরু করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং কোনো এক অজানা কারণে প্রায় প্রতিটি ম্যাচে জড়তার সাথে ব্যাট করেন এবং চাপে পড়ে উইকেট দিয়ে আসছিলেন তিনি। ফলত হারাতে হয় ওপেনিং স্পট এবং পরে একাদশ থেকেও বাদ পড়তে হয়।
আজ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচেও সুযোগ হয়তো ওপেনিংয়ে আসতো না যদি না অ্যারন ফিঞ্চ এবং বাবা ইন্দ্রজিৎ এঁরা দুজনেই নিজেদের পারফরমেন্স দিয়ে ম্যাকালাম-নায়ারকে হতাশ করতেন। আবার ফেরানো হয় ভেঙ্কটেশকে, এবং নিজের ইনিংসের চতুর্থ বলে মুরুগান অশ্বিনকে মিড-উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে প্রমাণ করলেন দলের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার কথা। এর ঠিক পরেই কভার অঞ্চল দিয়ে ড্রাইভ তাঁর বোর্ডে যোগ করলো আরো চারটি রান। ড্যানিয়েল স্যামস কিছু পরেই আবার মিড-উইকেট দিয়ে হজম করলেন ওভার বাউন্ডারি।
ভেঙ্কাটেশের সম্পূর্ণ ইনিংসটি আজ দাঁড়িয়ে ছিলো মারকুটে ব্যাটিংয়ের ওপর। রাইলি মেরেডিথ পরের ওভার করতে এসে আবার হজম করলেন চার এবং ছয়। ২০ বলে ৩১ ব্যাটিং করতে থাকা আইয়ার তার পরের ওভারে কুমার কার্তিকেয়র প্রথম তিনটি বলের মধ্যেও ১২টি রান বার করলেন। কিন্তু চতুর্থ বলে আবার রেঞ্জ হিটিং করতে গিয়ে পড়লেন সমস্যায় এবং ওই বলটি অন-সাইডে উড়িয়ে দিতে গিয়ে ব্যাটের টপ-এজ লেগে সরাসরি চলে যায় সেই ড্যানিয়েল স্যামসের হাতে।
আজ আইয়ারের ইনিংসকে ক্রিকইনফো বললো এই লেখার হেডলাইনের নামে। অবশ্যই ফিরে আসার এতো হিসেবি বিদ্ধংসী ইনিংসকে এর থেকে বেশী আর কিই বা বলা যায়?