সালমানের প্রথম সেঞ্চুরির জবাব দিচ্ছেন ল্যাথাম-কনওয়ে


সালমানের প্রথম সেঞ্চুরি এবং শেষ চার উইকেট জুটিতে ১২০ রান তুলে করাচি টেস্টে ভালো অবস্থানেই চলে গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ের অবিচ্ছিন্ন ১৬৫ রানের ওপেনিং জুটিতে স্বাগতিকদের দারুণ জবাবই দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে তারা পিছিয়ে ২৭৩ রানে, বাকি আছে সব কটি উইকেট। সালমানের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, শেষ চার উইকেট জুটিতে ১২০ রান তুলে করাচি টেস্টে দারুণ এক অবস্থানেই চলে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ের অবিচ্ছিন্ন ১৬৫ রানের ওপেনিং জুটিতে স্বাগতিকদের দারুণ জবাবই দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে তারা পিছিয়ে ২৭৩ রানে, বাকি আছে সব কটি উইকেট। ল্যাথাম অপরাজিত ৭৮ রানে, কনওয়ে ব্যাটিং করছেন ৮২ রানে।

আগের দিন ১৬১ রানে অপরাজিত পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম আজ ফেরেন আর কোনো রান যোগ না করেই। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদির করা দিনের প্রথম ওভারেই উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ দেন বাবর, পাকিস্তান ৩১৮ রানে হারায় ষষ্ঠ উইকেট।

নোমান আলীকে নিয়ে সালমান এরপর যোগ করেন ৫৪ রান। তবে সে জুটি নিউজিল্যান্ডকে হতাশ করে ২৬.১ ওভার। ৭৫ বলে ৭ রান করা নোমানকে ফিরিয়ে অবশেষে সে জুটি ভাঙেন নেইল ওয়াগনার। তবে সালমানকে দ্রুতই থামাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।

দশম ব্যাটসম্যান মীর হামজাকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে মধ্যাহ্নবিরতিতে যান সালমান, সে সময় তাঁর রান ছিল ৫৪। বিরতির পর থেকে খেলা শুরু করেন শট। সে সময় বোলিং করা ওয়াগনার ও ইশ সোধি—দুজনের ওপরই চড়াও হন। ওয়াগনারের এক ওভারেই মারেন তিনটি চার। অবশ্য সালমানকে ৮৯ রানে রেখেই ফিরে যান হামজা। সোধির বলে এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত রিভিউ করলেও আম্পায়ার্স কল হওয়াতে ফিরতেই হয় তাঁকে।

শেষ ব্যাটসম্যান আবরার আহমেদকে নিয়ে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি করতে পারবেন কি না, প্রশ্ন ছিল সেটিই। সাউদিকে চার মেরে নড়বড়ে নব্বইয়ে পৌঁছে যান সালমান, পরের ওভারে সোধিকে পরপর দুই বলে মারা চারে পেয়ে যান সেঞ্চুরি।

শেষ উইকেট জুটিতে শেষ পর্যন্ত ওঠে ২৪ রান। সাউদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে থামতে হয় ১৫৫ বলে ১০৩ রান করা সালমানকে। ইনিংসে তিনি মারেন ১৭টি ছক্কা।

চা-বিরতির আগেই ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড ১৪ ওভারে তোলে ৪১ রান, সে সময় একটু নড়বড়েই ছিলেন দুই ওপেনার। তবে বিরতির পর থেকেই চড়াও হন তাঁরা। শেষ সেশনে নিউজিল্যান্ড ৩৩ ওভারে তোলে ১২৪ রান। এ সময়ে সে অর্থে তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি পাকিস্তান।