এক যুগ পরে ডার্বিতে নেমে অনবদ্য প্রিনান দত্ত


গত ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ন ঋষভ মিশ্র হয়ে গিয়েছেন আহত ও অবসৃত, আয়ুষ সিং মাত্র ১ রানে হয়েছেন আউট। এরপর অরিন্দম ঘোষের সাথে পার্টনারশীপ হলেও তারপরেই ১ রানে ফিরে গিয়েছেন অনুষ্ঠুপ মজুমদার। কিন্তু নিজের জায়গা থেকে টলেননি প্রিনান দত্ত। ঠিক বলের মেধা অনুযায়ী খেলে করেছেন ৯৯টা রান। আজ দিনের শেষে মোহনবাগান ২৩৮-৫ স্কোরে দাঁড়িয়ে। অরিন্দম ঘোষের ৬১, শুভম সরকারের অপরাজিত ৩৮ আজ হয়তো এতটা উপযোগী হতোনা যদি না দিনের শুরু থেকে ঈশান পোড়েল-আকাশ ঘটক-আকাশ পান্ডেকে সামলে ৯৯ রানের ইনিংস খেলতেন প্রিনান।
এরপর সরাসরি “উইলোর উইল” এর সঙ্গে-
প্রশ্ন:- প্রথম প্রশ্ন এই যে ডার্বি ম্যাচে ৯৯ রানে আউট। কতটা খারাপ লাগা আছে?


প্রিনান:- সে একটু খারাপ লাগা আছেই কারণ প্রায় ১২ বছর পরে ডার্বি খেলছি। এই বয়সে একটা ডার্বির সুযোগ এলো। পাবলিক ক্লাব খেললে এই ম্যাচের জন্যই আমরা অপেক্ষা করি। একটু আফসোস আছে। তবে এখন ম্যাচ জিততে হবে। তোকে আমি আগেও বলেছি যে ট্রফি জেতাই লক্ষ্য। যদিও এটা মরশুমের খুবই শুরুতে। ১০০ করলে খুব ভালো লাগতো। হয়নি ঠিক আছে।
প্রশ্ন:- আয়ুষ কুমার সিং আউট হওয়ার পরে অরিন্দম ঘোষের সাথে কি কথা হয়েছিল পার্টনারশীপ নিয়ে?
প্রিনান:- আমাদের কোচ টুলটুল স্যারের(প্রণব নন্দী) বলা ছিল যে উইকেট যাওয়ার পরে নতুন ব্যাটার আর পুরোনো ব্যাটার মিলে পার্টনারশীপ যাতে তৈরী করে। নতুন বল নড়ে এবং অন্য যা হয়, তখন ধৈর্য ধরে খেলতে হয়। আমি আর অরিন্দম এই কথাই বলেছিলাম।
প্রশ্ন:- অরিন্দম ঘোষ আউট হওয়ার সময় ঈশান পোড়েল খুব টাইট বল করছিলেন। তুমি তখন দুটো বল লং অফ দিয়ে চার মারো। কি প্ল্যান ছিল ওই স্পেলে?
প্রিনান:- কিছুই নয়। বলের মেরিট অনুযায়ী খেলবো। ঈশান দারুণ স্পেল করেছে আর ও একজন ফার্স্ট ক্লাস বোলার। এটা বাধ্যতামূলক যে সেটা ব্যাটারকে আউট করতে ওকে দল আনবে। আমাকে উইকেট না দিয়ে লুস বলের অপেক্ষা করতে হবে কারণ এই উইকেটে লুস বল কম আসবে।
প্রশ্ন:- প্যাবিলিয়ন এন্ড থেকে যে বোলার বল করবে তাকে কি একটু ধরে খেলার প্ল্যান ছিল?
প্রিনান:- না ওরকম কিছু ছিল না। শুরুতে বল মুভ করছিল, তাই বল যতটা সম্ভব শরীরের কাছে খেলার চেষ্টায় ছিলাম।

ছবি : সিএবি