হার্দিক-জাদেজার যুগলবন্দিতে অনায়াস জয় এলেও ‘মাথা’ ব্যথা সারলো না

শুরুর দিন থেকেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অলরাউন্ডাররা প্রভাব দেখিয়ে আসছেন। টি২০ ক্রিকেটে তো এই প্রভাব আরও বেশী। এই বেসিক সত্যির উপর দাঁড়িয়েই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ জিতে নিল ভারত। প্রথমে দলের দুই নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার বল হাতে ছয় ওভারে মাত্র ছত্রিশ রান খরচ করে তিনটে উইকেট তুলে নিলেন এবং পরে ব্যাট করার সময় দলের হয়ে অর্ধেক রানও করে গেলেন। 

এবারের আইপিএলে পুনর্জন্ম হওয়ার পর থেকে হার্দিক পান্ডিয়া প্রতিদিন দলে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলছেন। যে ভঙ্গিমায় খেলে চলেছেন আইপিএলের পর থেকে তাতে করে বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপের দল বাছাই করার কাজটা খুব সহজ করে দিয়েছেন। আর রবীন্দ্র জাদেজা সম্পর্কে বহুদিন ধরেই আমরা বলে আসছি যে এখনও পর্যন্ত কোন ভারতীয় অধিনায়ক (যাঁদের নেতৃত্বে জাদেজা খেলেছেন) সঠিক ভাবে ব্যবহার করেননি। 

তবে ভুবনেশ্বর কুমারের ডেথ ওভারের বোলিংকে মাথায় রেখেও বলতে হয় পাকিস্তানের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্যমাত্রাকে ১৯৮-এর সমান দেখাতো যদি ফাকার জামান সেকেন্ড স্লিপে কোহলির ক্যাচটা ধরে নিতেন। কোহলি প্রথমিক সমস্যা কাটিয়ে একটা ভদ্রস্থ ইনিংস খেললেন বটে তবে যেভাবে শুরুর দিকে স্ট্রাগল করছিলেন  সেটা কোনমতেই কোহলি সুলভ নয়। একই সঙ্গে রান পেলেন না রোহিত-রাহুল ও। নবাগত নাসিম শাহের প্রথম স্পেলে যে ব্যাটিং করলো ভারতীয় দলের তিন প্রধান ব্যাটার তাতে করে উল্টোদিকে শাহীন আফ্রিদি থাকলে হার্দিক-জাদেজার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সও কিন্তু যথেষ্ট হতো কিনা সে প্রশ্ন থেকেই গেল।