নতুন ইতিহাস রচনার হাতছানি কোহলিদের সামনে

সমীকরণ খুব সহজ সরল।৯০ ওভারে লক্ষ্যমাত্রা ২৮০ । ৩.৭৫ রান রেটে ভারতীয় ইনিংস গন্তব্যে পৌছোনোর পথে অর্ধেক রাস্তা পার হ‌ওয়ার আগেই তিন উইকেট খুইয়ে বসায় আগামীকালের লড়াই যে কঠিনতম সন্দেহ নেই।আপাত স্বস্তিদায়ক বার্তা এই যে উইকেট এখন‌ও স্বাভাবিক স্ট্রোক প্লের পক্ষে অনুপযুক্ত হয়ে ওঠেনি।বিরাট যেরকম ছন্দে আছেন, রাহানে উপযুক্ত সহকারীর ভূমিকা পালন করতে পারলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি একেবারে অসম্ভব নয়। টেস্ট ক্রিকেটর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোন দল ৪৪৪ তাড়া করে জেতেনি।

বিশ বছর আগে সেন্ট জনসে অষ্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭ উইকেটে ৪১৮ এখন‌ও পর্যন্ত রান তাড়া করে জেতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ।কোহলিরা কাল সেই নজির টপকে যেতে পারবেন কিনা সেটা লাখ নয় কোটি টাকার প্রশ্ন।দুই ওপেনার যেরকম আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গীতে শুরু করেছিলেন,গোটা ম্যাচ জুড়ে অষ্ট্রেলিয়‌ আধিপত্যের বিরুদ্ধে আগ্রাসী প্রত্যাঘাতের ইঙ্গিত ছিল। তৃতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে শুভমন গিলের দূর্ভাগ্যজনক প্রস্থান সেই লড়াইকে পূর্ণতা না দিলেও অধিনায়ক ও পূজারার জুটিতে স্বপ্ন বেঁচে থাকার রসদ লুকিয়ে ছিল। বহুদিন পর রোহিত শর্মাকে পুরোনো মেজাজে পুনরাবিস্কার করতে পারাটা আশাতীত প্রাপ্তি যদিও কাজ অসমাপ্ত রেখে সঙ্কটমোচনে ব্যর্থ হ‌ওয়ার বহুল প্রচলিত ব্যাধি আক্রান্ত টপ অর্ডার এদিন‌ও আশা জাগিয়েও ব্যর্থ।পূজারা যেরকম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন তা এককথায় ক্ষমার অযোগ্য।শেষ দুটো উইকেট না পড়লে ম্যাচ ৫০-৫০ এমন দাবী কিন্তু যথেষ্ঠ যুক্তিগ্রাহ্য । কিন্তু স্কোরবোর্ড ১৬৪/৩ দেখাচ্ছে মানে বর্তমান জুটির স্থায়িত্ব‌ই ভারতের ভাগ্য নির্ধারণের মূল চাবিকাঠি।

ভারতীয় বোলিং কে আজ তুলনামূলকভাবে কালকের তুলনায় কম শৃঙ্খলাবদ্ধ লাগার পরিনতি লাবুশানেকে দ্রুত ফিরিয়েও ম্যাচের রাশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা। প্রথমে গ্রিণ ক্যারি জুটি ও পরে মিচেল স্টার্ক ও ক্যারির অর্ধশতরানের জোড়া পার্টনারশিপ রোহিতদের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ ছিল।সাড়ে তিনশোর আশেপাশে লিড বেঁধে রাখা গেলে রাহুল দ্রাবিড় আজ হয়ত অনেকটা নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যেতে পারতেন।