মিলারের হাত ধরে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয় দক্ষিণ আফ্রিকার


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টেম্বা বাভুমার হাত থেকে অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর ইতিহাস গড়লেন ডেভিড মিলার। তৃতীয় -টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৯০ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সঙ্গে মিলার হয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ বিজয়ী প্রোটিয়া অধিনায়ক।

সাউদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়ামে সিরিজ জিততে হলে ইতিহাসই গড়তে হতো ইংল্যান্ডকেও। কারণ এই মাঠে ১৯১ রান এর আগে কোনো দলই তাড়া করতে পারেনি। বাটলাররাও ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করতে পারেননি। জস বাটলার, জেসন রয়রা ছিলেন ব্যর্থ। কোনোমতে ১০১ রান তুলেই আত্মসমর্পণ করেছে বাটলাররা।

সিরিজের শুরুটা কিন্তু ভালই শুরু করেছিল বাটলারের দল। ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে বেয়ারস্টো ও মঈন আলীর ব্যাটিং তাণ্ডবে ইংলিশরা করেছিল ২৩৪ রান।যা ছিল ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। কিন্তু এই রান প্রোটিয়ারা কেন বিশ্বের কোন দলের কাছেই এই রান করা অসম্ভব। যাইহোক, তারা তা পারেনি। ইংল্যান্ড সহজেই জিতে নেয় প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

সিরিজ বাঁচাতে যখন জয়ের বিকল্প নেই, ঠিক তখনই ঘুরে দাঁড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিস্টলে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪১ রানের হারে জবাবে
কার্ডিফে দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫৮ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরে এসেছিল প্রোটিয়ারা। সেদিন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো যিনি ছয় বছর পর এই সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন। তার
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংসই ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী করেছিল।

যাইহোক, সিরিজে পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অসাধারণ পারফরমেন্স দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ইংল্যান্ডকে পিছনে ফেলেছে। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই প্রস্তুতিটা ভালই করে রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকানরা।